শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
তোফাজ্জল হত্যা: ঢাবির ৬ শিক্ষার্থীর দায় স্বীকার উন্নয়নের নামে দুর্নীতির মহোৎসবে মেতে ছিল আওয়ামী লীগ ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণকারী আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদের হিসাব জমা দিতে হবে ঢাবিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মশাল মিছিল ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধের ৪৮ দিন পর মারা গেলেন নয়ন জাবিতে শামীমকে পিটিয়ে হত্যায় ছাত্রলীগ নেতা হাবিব গ্রেফতার বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হলেন ফাহমিদা খাতুন দক্ষিণ সিটিকে মশার ওষুধ সরবরাহ করবে উত্তর সিটি পার্বত্য তিন জেলায় সংঘর্ষ, যা জানালো আইএসপিআর শরীয়তপুরে পদ্মা নদীতে ভাঙন, বাড়ি সরিয়েছে ২০০ পরিবার তিন পার্বত্য জেলায় সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার নাইজেরিয়ায় বন্যায় নিহত ২৮৫ ঢাকায় আরেক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা জাতিসংঘে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের কথা তুলে ধরবেন ড. ইউনূস দীঘিনালায় সংঘাত : শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ দ্বিতীয় ইনিংসেও এক অঙ্কে আটকা রোহিত যুক্তরাষ্ট্রে আদালতের ভেতর বিচারককে গুলি করে হত্যা শেখ হাসিনা রেহানা জয়সহ ৩৮৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যার আরেক মামলা ইউক্রেনে প্রাণ হারিয়েছে ৭০ হাজার রুশ সেনা

ধর্মের নামে কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বরদাশত করা হবে না: প্রধানমন্ত্রী

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় রবিবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৬
  • ১২১ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পুনরায় কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ধর্মের নামে কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকে বরদাশত করা হবে না।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কোন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের স্থান হবে না। ধর্মের নামে কোন সন্ত্রাসী কমকান্ডকে আমরা বরদাশত করবো না।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার বিকেলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে লালবাগের ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শনে এসে একথা বলেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে- ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি ডিএন চ্যাটার্জী, কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার পাল, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট তাপস কুমার পাল, এলাকার সাংসদ হাজী মো. সেলিম এমপি, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জয়ন্ত সেনগুপ্ত বক্তব্য রাখেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, ঢাকেশ্বরী মন্দিরের সেবায়েত প্রদীপ কুমার চক্রবর্তীসহ মন্দিরে আগত ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম-মুক্তিযুদ্ধে এদেশের প্রতিটি ধর্ম, বর্ণ, গোত্রের মানুষ এক হয়ে যুদ্ধ করে এদেশকে স্বাধীন করেছে। সকলের রক্ত একাকার হয়ে মিশে গেছে এ দেশের মাটিতে। মুসলিম, হিন্দু, খ্রীস্টান, বৌদ্ধ সকলে এদেশের স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছে। তাই সকল ধর্মের মানুষ তাদের এই দেশটাতে ঐকবদ্ধভাবে বসবাস করবেন- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব প্রদানকারী দল। তাই এই দল যখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে তখনই দেশের উন্নয়ন হয়। কারণ মানুষের কল্যাণ চিন্তাটাই আমাদের কাছে সব থেকে বড়ো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের সরকার সবসময়ই কঠোরভাবে ব্যবস্থা নিয়েছে এবং আগামীতেও নেবে। কারণ এই দেশে কোন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের স্থান হবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ধর্মের নামে কোন সন্ত্রাসী কমকান্ড, সেটাও আমরা বরদাশত করবো না।’

তিনি বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম, সৌহার্দ্যরে ধর্ম, ভ্রাতৃত্বের ধর্ম। এখানে কিন্তু জঙ্গিবাদের আসলে কোন জায়গা নাই। কিন্তু যারা এই সন্ত্রাস সৃষ্টি করে তারা ধর্মবিরোধী কাজই করে। ধর্মের অবমাননা করে।

শেখ হাসিনা বলেন, এখানে সকলে যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে এবং করে। সেই পরিবেশটাই আমরা তৈরি করতে চাই- ধর্ম যার যার উৎসব সকলের। আমরা বাংলাদেশীরা সেটাই মানি এবং সকলে মিলে যেকোন উৎসব উদযাপন করি। কাজেই সকলের তরে সকলে আমরা, আমরা মানবের তরে।

তাই সকলে মিলে আসুন আমরা এই দেশকে গড়ে তুলি। এই দেশ যাত উন্নত হবে, সমৃদ্ধশালী হবে বিশ্ব সভায় ততই আমরা মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হব,বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সংঘাত চাই না সমৃদ্ধি চাই, উন্নতি চাই। যে উন্নতির ছোঁয়া একদম গ্রামের তৃণমূল মানুষ পর্যন্ত পাবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ইসলাম ধর্মে স্পষ্ট বলা রয়েছে- ‘লাকুম দিনুকুম ওয়ালিয়াদিন’ অথাৎ যার যার ধর্ম তাঁর তাঁর কাছে। সবাই নিজস্ব মত ও পথ অনুযায়ী শান্তিপূণভাবে ধর্মকর্ম পালন করবে।

তিনি আরো বলেন, সকল ধর্মেই কিন্তু শান্তির কথা বলা হয়েছে, মানবতার কথা, মানব কল্যাণ, মানব উন্নয়নের কথা বলা হয়েছে। কাজেই এটা আমাদেরও মেনে চলতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বাংলাদেশটা সকল ধর্মের জন্য, সবাই এখানে শান্তিপূর্ণভাবে বাস করবে। যার যার ধর্ম সম্মানের সাথে পালন করবে, একজন অপরজনের ধর্মের প্রতি যথাযথ সন্মান প্রদর্শন করবে। সুন্দরভাবে মানুষ বাঁচবে, উন্নত জীবন পাবে- সেটই আমি আশা করি।

প্রধানমন্ত্রী দুর্গাপূজার মহাসপ্তমীর দিনে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, সারাদেশে বিপুল উৎসাহের সঙ্গে দূর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে। আমি এত চাই আপনারা প্রার্থনা করবেন আমাদের এই দেশটার যেন উন্নতি হয়। দেশের মানুষ যেন শান্তিতে বসবাস করে। আমরা বাংলাদেশ যেন দক্ষিণ এশিয়ায় একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।

প্রধানমন্ত্রী পরে রাজধানীর টিকাটুলীর রামকৃষ্ণ মিশন পূজা মন্ডপও পরিদর্শন করেন।

উল্লেখ্য,বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্যমতে, সারাদেশে ২৯ হাজার ৩৯৫টি পূজা মন্ডপে এবারের দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বাংলা৭১নিউজ/এনএন

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com