অগোছালো কথাবার্তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে ডোবাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের যুগে দল চালাতে পরিপক্ব মুখপাত্র প্রয়োজন বলেও তিনি মনে করেন।
রবিবার (১৩ জুলাই) সকালে ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
শফিকুল আলম বলেন, “একটি বিষয়ে ৫০০ জনের বক্তব্য দেওয়া রাজনৈতিক দলের জন্য এক ভয়াবহ দুর্যোগের রেসিপি। এতে দলের ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত ভাবমূর্তি বিপর্যস্ত হয়। এ পরিস্থিতি এড়াতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত তাদের পক্ষে কথা বলার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা।”
তিনি বলেন, “টেলিভিশনের টকশো বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা মন খুলে কথা বলছেন। এতে দল সম্পর্কে শৃঙ্খলাহীন ও অগোছালো একটি চিত্র ফুটে উঠছে, যা ক্রমাগত দলকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এর কোনো সুফল নেই, বরং প্রতিপক্ষের হাতে সমালোচনার অস্ত্র তুলে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত।”
শফিকুল আলম আরো বলেন, “মানুষ ভুলে যায়, আমরা এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নির্ভর এক যুগে বাস করছি। এই যুগে দলের পক্ষে কথা বলার জন্য দরকার অত্যন্ত যোগ্য ও মেধাবী মুখপাত্র। যাদের সেই যোগ্যতা নেই, তাদের উচিত মাঠ পর্যায়ে সংগঠন গড়ে তোলার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করা।”
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসনের এক ডজনের বেশি গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা ছিলেন সাবেক সাংবাদিক। কারণ, তারা জানেন কীভাবে একজন মুখপাত্র হিসেবে কথা বলতে হয় এবং কাদের উদ্দেশে কী বার্তা দেওয়া দরকার।”
তার মতে, এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের রাক্ষুসে যুগে যোগাযোগ দক্ষতাই একটি রাজনৈতিক দলের উত্থান কিংবা পতনের প্রধান নিয়ামক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “দলীয় বক্তব্য উপস্থাপনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনুন, নয়তো মুখের বেপরোয়া ব্যবহারেই দল ডুবে যেতে পারে।”
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ