ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, বর্তমানে এসিল্যান্ডদের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ভূমি উন্নয়ন কর আদায়। এ কর আদায় আরও উদ্যোগী হতে হবে।
রোববার (১৩ জুলাই) রাজধানীর কাটাবনে ভূমি প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৪৩ ও ৪৪তম বেসিক ভূমি ব্যবস্থাপনা কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভূমি উপদেষ্টা এ আহ্বান জানান। পাঁচ সপ্তাহব্যাপী এ প্রশিক্ষণে মোট ১০০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেছেন।
ভূমি উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে এসিল্যান্ডদের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ভূমি উন্নয়ন কর আদায়। ভূমি উন্নয়ন কর আদায় আরও উদ্যোগী হতে হবে। নামজারির ক্ষেত্রে ঝামেলা রয়ে গেছে। এটা আধুনিকায়ন করা হবে, তবে যন্ত্রের পেছনে যে লোকটি থাকবে তাকে সৎ এবং নিয়মিত মনিটরিংয়ে রাখতে হবে। আর একটি ব্যাপার হচ্ছে নামজারি, এক্ষেত্রে নিজের নামজারি নিজে করলে ভূমি সহকারী বা কানুনগো এদের দৌরাত্ম্য হ্রাস পাবে, সঠিক ভূমি সেবা নিশ্চিত হবে।
তিনি বলেন, ভূমি যদিও একটি জটিল বিষয়, নানা কারণে ভূমি নিয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও বদনাম রয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে অফিস প্রধান হিসেবে ভীত হলে চলবে না, সততার সঙ্গে কাজ করতে হবে। এই প্রশিক্ষণ থেকে নিজেকে যোগ্য করে তুলতে হবে। প্রশিক্ষণ শেষে জেলায় ভূমি প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে দায়িত্ব অপরিসীম। দায়িত্ব সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে পালনের মাধ্যমে জনসেবার দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।
জানা যায়, এই কোর্সটিতে ভূমি ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেমন— ভূমি আইন, ভূমি জরিপ, ভূমি রেকর্ড, ভূমি উন্নয়ন কর, নামজারি, ভূমি বিষয়ক বিরোধ নিষ্পত্তি ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এছাড়া ভূমি ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সম্পৃক্ত জনবলকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে ১৯৮৭ সালে “ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি” নামে একটি কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
ইতোমধ্যে ভূমি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের গুরুত্ব অনুধাবন করে সরকার “ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি” কে স্থায়ীরূপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বলে জানান উপদেষ্টা।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস