গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে জিপিও ভবনকে ‘পরিত্যক্ত ও অব্যবহৃত’ দাবি করে তা সচিবালয়ের এক্সটেনশন হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার কাছে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টিকে জিপিও ভবন ‘দখলের ষড়যন্ত্র’ আখ্যা দিয়ে এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ডাক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
রোববার (১১ মে) জিপিও ভবনে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সভায় ডাক বিভাগের ঢাকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়ো হন।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন সার্কেলের পোস্টমাস্টার জেনারেল মো. আলতাফুর রহমান।
ডাক বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একটি পত্রে জিপিও ভবনকে ‘পরিত্যক্ত ও অব্যবহৃত’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে, যা সচিবালয়ের মাস্টার প্ল্যানে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার কাছে দেওয়া হয়।
ডাক বিভাগ দাবি করেছে, এই তথ্য (পরিত্যক্ত ও অব্যবহৃত) সম্পূর্ণ মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জিপিও কম্পাউন্ড একটি সরকার ঘোষিত কেপিআইভুক্ত স্থাপনা। এখানে ডাক বিভাগের ১৪টি গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনাল অফিস সক্রিয়ভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। প্রতিদিন হাজারো মানুষ এখান থেকে ডাক ও আর্থিক সেবা গ্রহণ করে। ভবনটি কখনোই পরিত্যক্ত ছিল না এবং যতোদিন সভ্যতা থাকবে, ততোদিন ডাক সেবা চলমান থাকবে।
এতে বলা হয়, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কার্যালয় শেরে বাংলা নগরে স্থানান্তরিত হলেও অন্যান্য অপারেশনাল অফিস এখনও জিপিও কম্পাউন্ডেই সচল রয়েছে। ডাক বিভাগের মতামত ছাড়াই এ ধরনের চিঠি জারি এবং তা প্রধান উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করার ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জিপিও ভবন শুধুমাত্র একটি স্থাপনা নয়; এটি ডাক বিভাগের প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রাণের জায়গা, গর্ব এবং ঐতিহ্যের প্রতীক। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই ভবন কেড়ে নেওয়ার যে কোনো উদ্যোগকে দেশের ডাক সেবার ওপর আঘাত হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
ডাক বিভাগের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অবিলম্বে এই প্রস্তাব বাতিল করতে হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে ডাক বিভাগের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ আলোচনা ও সম্মতি নিতে হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস