জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘ফ্যাসিস্ট শাসকের পলায়নের মধ্য দিয়ে দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথে একটি প্রাথমিক বিজয় অর্জিত হয়েছে।’
সোমবার (১২ মে) জাতীয় সংসদ ভবনের এল. ডি. হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের আলোচনার সূচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন। অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, গত ৫৩ বছর ধরে দেশের মানুষ একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সেই আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ না হওয়ায় মানুষ বারবার এই আন্দোলনের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত করেছে।
তিনি আরও বলেন, গত জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থান ফ্যাসিস্ট শাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক চেতনার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এই বিজয়কে পূর্ণতা দিতে হলে সব রাজনৈতিক শক্তি ও নাগরিক সমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
আলী রীয়াজ বলেন, এই মুহূর্তটি ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণ। স্বাধীনতার পর এমন সুযোগ আর আসেনি। কাজেই, আমাদের যে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের অসমাপ্ত স্বপ্ন—তা বাস্তবায়নের জন্য এ সুযোগ কাজে লাগানো জরুরি।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা কমিশনের প্রধান লক্ষ্য শুধু ঐক্যের পথ তৈরি করা নয়, বরং একটি জবাবদিহিমূলক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে সব রাজনৈতিক দল, শক্তি ও নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক এবং সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (এম. এল)-এর সভাপতি হারুন চৌধুরী, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সভাপতি আলি হোসেন, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল–পিডিপি’র মহাসচিব হারুন আল রশীদ খান এবং সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. সামছুল আলম।
আলোচনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বাংলা৭১নিউজ/একেএম