উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বৃহস্পতিবার একটি নতুন যুদ্ধজাহাজের উৎক্ষেপণের সময় একটি গুরুতর দুর্ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। এটিকে অপরাধমূলক কাজ বলে অভিহিত করেছেন। বলেছেন, এটা যা সহ্য করা যায় না।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, পাঁচ হাজার টনের ডেস্ট্রয়ারের তলদেশের কিছু অংশ ভেঙে পড়েছিল। যার ফলে জাহাজটি ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিল।
উৎক্ষেপণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত কিম জুন মাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দলীয় সভার আগে জাহাজটি পুনরুদ্ধার করার নির্দেশ দিয়েছেন। জাহাজটির নকশা তৈরির সাথে জড়িতদের এই ঘটনার জন্য দায়ী করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন এক মুহূর্তের মধ্যে আমাদের জাতির মর্যাদা এবং গর্বকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে ঘটনার ফলে কোনও হতাহত বা আহত হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়নি। কিম বৃহস্পতিবারের দুর্ঘটনার জন্য সম্পূর্ণ অসাবধানতা, দায়িত্বজ্ঞানহীনতা এবং অবৈজ্ঞানিক অনভিজ্ঞতাকে দায়ী করেছেন।
তিনি আরও যোগ করেছেন যে জড়িতদের দায়িত্বজ্ঞানহীন ত্রুটি আগামী মাসে অনুষ্ঠিত একটি পূর্ণাঙ্গ সভায় মোকাবেলা করা হবে। তাদের কী শাস্তি হতে পারে তা স্পষ্ট নয় তবে কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রের মানবাধিকারের রেকর্ড অত্যন্ত খারাপ।
দক্ষিণ কোরিয়ার ডিভিডি দেখা থেকে শুরু করে দেশত্যাগের চেষ্টা পর্যন্ত প্রায় যেকোনো কারণেই মানুষকে জেলে পাঠানো যেতে পারে বলে কর্মীরা জানিয়েছেন। স্থানীয় দুর্ঘটনা প্রকাশ্যে প্রকাশ করা উত্তর কোরিয়ার পক্ষে অস্বাভাবিক যদিও তারা অতীতে কয়েকবার এটি করেছে।
গত নভেম্বরে তারা ছয় মাস আগে একটি সামরিক উপগ্রহের মাঝ আকাশে বিস্ফোরণকে মারাত্মক ব্যর্থতা হিসাবে বর্ণনা করেছিল এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে প্রস্তুতি নেওয়া কর্মকর্তাদের সমালোচনা করেছিল।
২০২৩ সালের আগস্টে রাষ্ট্রটি জরুরি বেস্টিং সিস্টেমের ত্রুটির জন্য আরেকটি ব্যর্থ উপগ্রহ উৎক্ষেপণের জন্য দায়ী করেছিল। কিন্তু বলেছিল যে এটি বড় সমস্যা নয়।
বৃহস্পতিবারের ঘটনাটি উত্তর কোরিয়া দেশের পশ্চিম উপকূলে ৫ হাজার টনের একটি নতুন ডেস্ট্রয়ার উন্মোচনের কয়েক সপ্তাহ পরেই ঘটে। তারা বলেছিল, ৭০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম ছিলো।
কিম যুদ্ধজাহাজটিকে নৌবাহিনীর আধুনিকীকরণের ক্ষেত্রে একে একটি অগ্রগতি বলে অভিহিত করেছিলেন। বলেছিলেন যে এটি আগামী বছরের শুরুতে মোতায়েন করা হবে।
সূত্র: বিবিসি
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ