ক্যালিফোর্নিয়ার লস এঞ্জেলেসের উত্তরে একটি ভয়াবহ দাবানলের কারণে শুক্রবার (৮ আগস্ট) হাজার হাজার বাসিন্দাকে ঘর ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তীব্র গরম এবং শুষ্ক আবহাওয়ায় আগুন আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার ভেনচুরা ও লস এঞ্জেলেস কাউন্টির সীমান্ত এলাকায় শুরু হয় ক্যানিয়ন ফায়ার নামে এই অগ্নিকাণ্ড। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এটি প্রায় ৫ হাজার ৪০০ একরজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দাবানল আংশিক নিয়ন্ত্রণে এসেছে। শুক্রবার রাত পর্যন্ত এর ২৮ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দাদের জন্য নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
অগ্নি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে তীব্র গরম এবং শুষ্ক আবহাওয়া বাধা সৃষ্টি করলেও শুক্রবার রাতে ভেনচুরা কাউন্টি জানিয়েছে, আবহাওয়া অনুকূল হওয়ায় দমকল বাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে ভালো অগ্রগতি অর্জন করেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় চার শতাধিক দমকলকর্মী আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। শুক্রবার রাতে একটি পাহাড়ি ঢালে কাজ করার সময় গাড়ি উল্টে এক দমকল কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দাবানলটি এখনো সক্রিয় রয়েছে এবং কাস্তাইক, লস এঞ্জেলেস কাউন্টির দিকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট (প্রায় ৩৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস) পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়ার পূর্বাভাসে বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
দাবানলের সবচেয়ে কাছাকাছি শহর সান্তা ক্লারিটায় বাসিন্দাদের আগুনের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়া ফরেস্ট্রি অ্যান্ড ফায়ার প্রোটেকশন ডিপার্টমেন্ট (কাল ফায়ার) জানায়, ক্যানিয়ন ফায়ার রাজ্যের একাধিক সক্রিয় দাবানলের একটি মাত্র।
রাজ্যের সর্ববৃহৎ আগুন গিফোর্ড ফায়ার, যা স্যান লুইস ওবিস্পো ও সান্তা বারবারা কাউন্টিতে প্রায় এক লাখ একর এলাকা গ্রাস করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্যালিফোর্নিয়ায় দাবানলের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। গরম এবং শুষ্ক আবহাওয়া অগ্নি মৌসুমকে দীর্ঘায়িত এবং বিধ্বংসী করে তুলেছে।
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে লস এঞ্জেলেসের উত্তরে আলটাডেনা এলাকায় ইটন ফায়ার নামের আগুনে কমপক্ষে ৩১ জন নিহত হন এবং হাজার হাজার স্থাপনা ধ্বংস হয়।
সূত্র: বিবিসি
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ