জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গাজায় ইসরায়েলের স্থল অভিযান সম্প্রসারণের পরিকল্পনার প্রতিবেদনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
শনিবার (১৭ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ এক পোস্টে জাতিসংঘ প্রধান বলেন, “গাজায় স্থল অভিযান সম্প্রসারণের জন্য ইসরায়েলের পরিকল্পনা দেখে আমি উদ্বিগ্ন।”
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে পরাজিত করতে এবং গাজায় অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তীব্র অভিযান শুরুর ঘোষণা দিয়েছে।
শনিবার গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানায়, গত দুই দিনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বাহিনী উত্তর গাজায় ২০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং প্রায় ৩ লাখ মানুষকে জোরপূর্বক গাজা শহরের দিকে সরিয়ে দিয়েছে।
এক্স পোস্টে গুতেরেস বলেন, “আমি জোর দিয়ে বলছি, জাতিসংঘ এমন কোনো অভিযান সমর্থন করবে না যা আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবিক নীতি- মানবতা, নিরপেক্ষতা, স্বাধীনতা এবং নিরপেক্ষতা মেনে চলে না।”
জাতিসংঘের মতে, গাজা উপত্যকার প্রায় ৭১ শতাংশ স্থানচ্যুতি আদেশের অধীনে বা ইসরায়েলি সামরিক দখলে রয়েছে।
তিনি গাজাবাসীদের তাদের ভূমি থেকে বাস্তুচ্যুত করার যে কোনো পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
জাতিসংঘ প্রধান বলেন, “আমি জনসংখ্যার বারবার স্থানচ্যুতি- গাজার বাইরে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির যে কোনো পদক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করছি।”
গুতেরেস জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউকে)-কে সমর্থন করার জন্যও আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘের এই সংস্থাটিকে ইসরায়েল ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে লক্ষ্যবস্তু করে আসছে।
ইসরায়েল গত ২ মার্চ থেকে গাজায় খাদ্য, পানি ও ওষুধসহ সব ধরনের সরবরাহ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজার ২০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ