বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাসিক টিউশন ফিসহ অন্যান্য ফি আদায় প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রুলে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি আদায় কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে ফি আদায়ের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আজ বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই রুল জারি করেন।
আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
‘বৃত্তিপ্রাপ্তদের কাছ থেকে টিউশন ফি আদায়, নির্দেশ মানছে না অনেক নামি স্কুল’ শিরোনামে গত ৩ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘যারা প্রাথমিক ও অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষায় বৃত্তি পাবে তাদের কাছ থেকে টিউশন ফি আদায় করা যাবে না’ সরকারের এমন কঠোর নির্দেশনা থাকলেও তা মানছে না বেসরকারি নামি স্কুলগুলো। ভর্তি ফি, নিবন্ধন ফি, উন্নয়ন ফি, টিউশন ফিসহ সবধরনের ফি-এর টাকাই বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করছে এসব প্রতিষ্ঠান। ফলে বৃত্তি পাওয়ার মাধ্যমে ততটা আর্থিক সুবিধা পাচ্ছে না স্বীকৃত এসব মেধাবীরা।
রাজধানীর বাইরেও অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই প্রবণতা রয়েছে।
এই প্রতিবেদন আজ আদালতের নজরে আনেন আমির হোসেন নামে হাইকোর্টের এক আইনজীবী।
আদালত এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে রুল জারি করেন।
আইনজীবী আমির হোসেন বলেন, শিক্ষাসচিব, অতিরিক্ত সচিব (টাস্কফোর্স), শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, ঢাকা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ, সংশ্লিষ্ট থানা শিক্ষা কর্মকর্তাকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস