১৯২৫ সালের ১০ জুলাই জন্ম নেন মাহাথির মোহাম্মদ। তাকে আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার বলা হয়। একটা উন্নয়নশীল দেশকে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর কাতারে শামিল করেছেন তিনি। প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে রাজনীতির ময়দানে প্রভাব বিস্তার করে চলেছেন।
১০ জুলাই (বৃহস্পতিবার) একশ বছরে পা দেন বর্ষিয়ান এই রাজনীতিক। আর দিনটি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনলাইনে-অফলাইনে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করে ভক্ত ও অনুসারীরা। শুভেচ্ছা জানান মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমও।
মাহাথিরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী। শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ শুভেচ্ছা জানান তিনি।
পোস্টে তিনি লেখেন, শুভ জন্মদিন ড. মাহাথির মোহাম্মদ। আপনি একজন কিংবদন্তি রাষ্ট্রনায়ক, যার প্রজ্ঞা, দূরদৃষ্টি ও নেতৃত্ব শুধু একটি জাতিকে নয়, বরং বিশ্বের বহু প্রজন্মকে প্রভাবিত ও অনুপ্রাণিত করেছে।
তিনি আরও লেখেন, দুই দশকেরও বেশি সময় আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আপনাকে পাওয়া সত্যিই সম্মানের— একটি মুহূর্ত যা আমি গভীরভাবে লালন করি। এক শতাব্দীর অসাধারণ সাক্ষী এবং স্থপতি হিসেবে আপনার অব্যাহত স্বাস্থ্য, শান্তি এবং অনুপ্রেরণা কামনা করছি।
মাহাথির ২৪ বছর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। প্রথম দফায় ১৯৮১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত টানা ২২ বছর এবং পরে ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত আরও দুই বছর তিনি দায়িত্ব পালন করেন।
তার নেতৃত্বে মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে আসে ব্যাপক পরিবর্তন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটে নজিরবিহীনভাবে। তবে বিরোধী মত দমন ও মানবাধিকার রক্ষায় তার সীমিত অঙ্গীকার নিয়ে বহুবার বিতর্ক হয়েছে।
১৯২৫ সালের ১০ জুলাই মালয়েশিয়ার কেদাহ রাজ্যের আলোর সেতারে জন্মগ্রহণ করেন মাহাথির। তার দাদা ভারতের কেরালা থেকে সেখানে অভিবাসী হন। বাবা মোহাম্মদ ইস্কান্দার ছিলেন একটি ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলের প্রধান শিক্ষক। চল্লিশের দশকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাশাস্ত্রে পড়াশোনা করেন মাহাথির, সেখানেই পরিচয় হয় ভবিষ্যতের জীবনসঙ্গী সিতি হাসমাহর সঙ্গে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ