বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির আখ্যা থেকে খাদ্য রফতানিকারক দেশে পরিণত করেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। ব্যক্তিজীবনেও দুর্নীতি, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও সুবিধাবাদের কাছে আত্মসমর্পণকে তিনি ঘৃণা করতেন।’
আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে এ বাণী দেন মির্জা ফখরুল।
বাণীতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুণঃপ্রবর্তনকারী ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদৎবার্ষিকীতে আমি তার অম্লান স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি ও রূহের মাগফিরাত কামনা করছি।’
তিনি বলেন, ‘জীবদ্দশায় জাতির দুঃসময়গুলোতে জিয়াউর রহমান দেশ ও জনগণের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেছেন। মহান স্বাধীনতার বীরোচিত ঘোষণা, ৭১-এর মরণপণ লড়াই এবং রাষ্ট্র বিনির্মাণে তার অনন্য অবদান আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনমনে ভয় আর আতঙ্ক সৃষ্টি করে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ দীর্ঘ ১৬ বছর ক্ষমতা আঁকড়ে রেখেছিল। জনগণের ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিল। নির্যাতন ও জুলুম ছিল পতিত ফ্যাসিবাদের ক্ষমতায় টিকে থাকার একমাত্র হাতিয়ার।
দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করে এক মাফিয়া অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করেছিল পরাজিত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসকগোষ্ঠী। এমতাবস্থায় হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ছাত্র-জনতাসহ সকল গণতন্ত্রকামী মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে গতবছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতন ঘটায়। ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বিজয়কে এখন পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন, জনগণের কাছে জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা, পরমতসহিষ্ণুতাসহ সকল নাগরিক অধিকার নির্ভয়ে প্রয়োগ করার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যাতে গণতন্ত্র স্থায়ী রূপ লাভ করে। জাতীয় জীবনের সকল সঙ্কট, সংগ্রাম ও বিনির্মাণে শহীদ জিয়ার প্রদর্শিত পথ ও আদর্শ বুকে ধারণ করেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে এবং জাতীয় স্বার্থ, বহুমাত্রিক গণতন্ত্র এবং জনগণের অধিকার সুরক্ষায় ইস্পাতকঠিন গণঐক্য গড়ে তুলতে হবে।’
আগামী ৩০ মে মহান নেতার শাহাদৎবার্ষিকী সর্বস্তরে ব্যাপকভাবে যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনের জন্য দল, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন সমূহসহ সকল স্তরের জনগণের প্রতি আমি উদাত্ত আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।