মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, চীনের সঙ্গে ওয়াশিংটনের একটি ‘খুব, খুব জোরালো’ বাণিজ্যচুক্তির খসড়া রয়েছে, যার মাধ্যমে মার্কিন ব্যবসাগুলোর জন্য চীনের অর্থনীতি উন্মুক্ত হবে।
তিনি আরো বলেছেন, মার্কিন-চীন বাণিজ্য চুক্তির চূড়ান্ত বিবরণ নিয়ে তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করতে পারেন।
ফক্স নিউজের বরাত দিয়ে বুধবার (১৪ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার ফক্স নিউজে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, তিনি মার্কিন-চীন বাণিজ্য চুক্তির চূড়ান্ত বিবরণ নিয়ে তার চীনা প্রতিপক্ষ শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করতে পারেন।
ট্রাম্প ফক্স নিউজ চ্যানেলের শন হ্যানিটিকে বলেন, “হ্যাঁ, আমি তা দেখতে পাচ্ছি। আমি বলতে চাচ্ছি, আমি নিশ্চিত নই যে, এটি প্রয়োজনীয় হবে কিনা, তবে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে এটি ঘটেছে।”
তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন যে, শি’র সঙ্গে তার সমসময় ‘ভালো সম্পর্ক’ রয়েছে। ট্রাম্প বলেন, শির প্রতি তার অনেক শ্রদ্ধা রয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, “আমার মনে হয় এটি আমাদের জন্য এবং চীনের জন্যও সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ হতে পারে যে, আমরা চীনকে উন্মুক্ত করার চেষ্টা করছি। কারণ আপনি জানেন, বহু বছর আগে, আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। এখন চীনের উন্মুক্ত করার সময় এসেছে এবং এটি আমাদের চুক্তির অংশ। আমরা চীনকে উন্মুক্ত করতে যাচ্ছি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, “চীনের সঙ্গে আমাদের একটি খুব, খুব শক্তিশালী চুক্তির সীমারেখা নির্ধারিত হয়েছে। এই চুক্তির সবচেয়ে উত্তেজনাকর অংশ হচ্ছে- চীনকে আমাদের ব্যবসার জন্য খুলে দেওয়া।”
তিনি বলেন, “এবং এটি একটি সম্পূর্ণ নতুন বিশ্ব উন্মুক্ত করার মতো হবে। আমি মনে করি এটি চীনের জন্য আরো ভালো হবে।
গত সপ্তাহান্তে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন ম্যারাথন বাণিজ্য আলোচনা সম্পন্ন করেছে।
আলোচনায় প্রাথমিকভাবে ৯০ দিনের জন্য উল্লেখযোগ্যভাবে শুল্ক হ্রাস করার একটি চুক্তি হয়েছে, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্য আমদানির উপর মার্কিন শুল্ক ১৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশ করবে এবং চীন আমেরিকান পণ্যের উপর তার আমদানি শুল্ক ১২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করবে।
উভয় পক্ষের বিবৃতিতে ‘গঠনমূলক’ হিসাবে বর্ণনা করা এই আলোচনা, এই বছরের শুরুতে ট্রাম্পের ব্যাপক শুল্ক আরোপের ঘটনায় কয়েক মাস ধরে সম্পর্কের অবনতির পরে একটি বড় অগ্রগতি।
বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ বিশ্ববাজারে উত্তেজনা ও অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা তৈরি করেছিল।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ