বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নে গণমাধ্যমকে অতন্ত্র প্রহরীর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় গণমাধ্যম ইন্সটিটিউটে আয়োজিত কর্মশালায় এই আহ্বান জানানো হয়। আইন, বিচার ও মানবাধিকারবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যদের নিয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করে জাতীয় গণমাধ্যম ইন্সটিটিউট। এতে সহযোগিতা করে ইউএনডিপি, সুইডিশ দূতাবাস ও সুপ্রিম কোর্ট।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড.আজিজ আহমেদ ভূঞা বলেন, এরই মধ্যে প্রধান বিচারপতি বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছেন। যার অনেকগুলোই বাস্তবায়ন হয়েছে। পৃথক সচিবালয়সহ কয়েকটি বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় এগুলো বাস্তবায়নের জন্য গণমাধ্যম অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে।
কর্মশালায় ইউএনডিপি বাংলাদেশের আইন, বিচার এবং নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা রোমানা শোয়েগার বলেন, বিচার বিভাগকে শক্তিশালী করার জন্য আদালত ব্যবস্থাপনা ডিজিটালাইজড করা দরকার। জনগণের জন্য ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে স্বতন্ত্র প্রসিকিউশন ও স্বতন্ত্র তদন্ত সংস্থা যাতে গঠন করা হয় সেজন্য আমরা কাজ করছি।
এসময় ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি আনোয়ারুল হক বলেন, বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ বাস্তবায়নের জন্য ইউএনডিপির সহযোগিতায় দেশের সাতটি অঞ্চলে মতবিনিময় করা হয়েছে। যাতে জনগণ সংস্কারের বিষয়ে সচেতন হচ্ছে।
জাতীয় গণমাধ্যম ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক মো. কাউসার আহাম্মদ কর্মশালার উদ্বোধন করেন।
কর্মশালায় বক্তব্য দেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান) ড. মো. মারুফ নাওয়াজ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জাতীয় গণমাধ্যম ইন্সটিটিউটের সহকারী পরিচালক তানজিম তামান্না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইন্সটিটিউটের উপপরিচালক মোহাম্মদ আবু সাদেক। কর্মশালায় ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের ৪০ জন সদস্য অংশ গ্রহণ করেন। কর্মশালায় মোবাইল জার্নালিজম নিয়ে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন মোবাইল জার্নালিজম বিশেষজ্ঞ এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ড. কাবিল খান জামিল এবং বাংলাদেশ টাইমসের এডিটর-ইন-চিফ সাব্বির আহমেদ।
বাংলা৭১নিউজ/এসএম