বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:৩৭ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
জনগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দিলো ইউকেএম ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের আগে পুতিন ও কিমের ফোনালাপ ১৭ আগস্ট অবসর! বিতর্কিত পানি সচিবকে নিয়ে সরকার কেন এতটা পথ হাঁটলো? তরুণদের সামরিক ট্রেনিং করাতে হবে : নাহিদ ইসলাম ভোট দিলে ধানের শীষে, দেশ গড়বো মিলেমিশে: তারেক রহমান নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার: ড. ইউনূস মালয়েশিয়ানদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ‘চলতি অর্থবছর শেষে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে ৫.৭ শতাংশ’ দুর্নীতিমুক্ত-বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথপ্রদর্শক হবে তরুণরা: আসিফ

ভাইরালের বিড়ম্বনা, বিপদে ফুটপাতের সেই হোটেল মালিক মিজান

বাংলা৭১নিউজ ঢাকা:
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

ঢাকার ফুটপাথের পাশে ছোট্ট এক ভাতের হোটেল। কোনো চাকচিক্য নেই, নেই কাচের শোকেস বা দামি সাইনবোর্ডও। গরম ভাতে ধোঁয়া উড়েছে, তরকারি আর মাংস সাজানো বাটিতে। এই হোটেলের কোনো কর্মচারী নেই—রান্না থেকে শুরু করে সাজানো, সবই একা সামলান মিজানুর রহমান, সবার প্রিয় ‘মিজান ভাই’।

মিজানের হোটেলের নিয়ম ছিল একেবারেই অন্যরকম। গ্রাহক নিজের মতো খাবার তুলে নিতেন, আর খাওয়া শেষে একটা ছোট্ট প্লাস্টিকের কৌটায় নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী টাকা রেখে যেতেন। কারও পক্ষে বেশি দেওয়া সম্ভব হলে দিতেন, না পারলে কিছু না দিয়েও খেতে পারতেন। এভাবেই চলছিল মিজানের ‘ফুটপাতের বুফে’।

কিন্তু একদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলেন মিজান। ভিডিওতে দেখা গেল হাসিমুখে অতিথিদের স্বাগত জানাচ্ছেন, কেউ কম দিচ্ছে তো মিজান কিছু মনে করছেন না। সেই ভিডিওর ভিউ মিলিয়ন পেরোল। মানুষের ভিড়ও বাড়ল কিন্তু তার সঙ্গে বদলে গেল সবকিছু।

প্রথমে ভিড় জমাল ইউটিউবার আর কনটেন্ট ক্রিয়েটররা। খাবারের চেয়ে তাদের আগ্রহ বেশি ছিল রিভিউ, ক্যামেরায় মিজানের মুখ ধরা, ভাইরাল কনটেন্ট বানানো। মিজান বলেন, সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে রান্নার সময়ই পাই না। খাবার ঠিকমতো হয় না, তাই বিক্রিও কমে গেছে।

আগে দিনে বিক্রি হতো ১২০০ টাকার বেশি, এখন ৫০০–৬০০ টাকাও ওঠে না। মিজানের কণ্ঠে তীব্র কষ্ট “মানুষ বেশি হয়ে গোশত তিন চার পিস করে নিয়ে খেয়ে যায়, আমি কিছু বলতে পারি না। ১০ কেজির কড়াই তুলি, শেষে ডিব্বায় মাত্র এক হাজার টাকা। অনেকে টাকাই দেয় না। আমার হাজিরার টাকাও থাকে না।”

এরই মধ্যে প্রশাসনের চাপ—হোটেল সরিয়ে নিতে হবে। পুলিশের কথায় আতঙ্কিত, আবার নিজের কিছু উল্টোপাল্টা মন্তব্যে অনুশোচনায় ভুগছেন তিনি। চোখ ভিজে আসে মাগরিবের আগে দোকান গুটিয়ে বাসায় ফেরার কথায়। মিজানের দাবি, এসব কাণ্ডে স্ত্রীও তার ওপর বিরক্ত। ব্যবসাও একেবারেই মন্দায়।

শেষে প্রায় মিনতির সুরে মিজান বলেন, “সবাইকে বলি, আমার ব্যবসাটা নষ্ট কইরেন না। আমি তো জানতাম না ভাইরাল হইলে এমন হয়।”

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2018-2025
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com