পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই শিশুকে পুকুরে ছুড়ে ফেলার সময় এক পথচারী ঘটনাটি টের পেয়ে দ্রুত পুকুরে নেমে তাকে উদ্ধার করেন। পরে রাত ১০টার দিকে ফুলবাড়ী থানার পুলিশ এসে শিশুটিকে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই শিশুকে পুকুরে ছুড়ে ফেলার সময় এক পথচারী ঘটনাটি টের পেয়ে দ্রুত পুকুরে নেমে তাকে উদ্ধার করেন। পরে রাত ১০টার দিকে ফুলবাড়ী থানার পুলিশ এসে শিশুটিকে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গতকাল শনিবার সারা দিন তাসিনকে বাইসাইকেলে ঘুরিয়ে বেড়ানোর পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে ছড়ারপার এলাকার একটি পুকুরে ফেলে দেন মুরাদ হোসেন।
পথচারী আজিপুর রহমান বলেন, ‘আমি বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। হঠাৎ দেখি, এক ব্যক্তি শিশুটিকে পুকুরে ফেলে দিয়ে সাইকেল চালিয়ে দ্রুত চলে যাচ্ছেন। শিশুটি তখন ‘বাঁচাও, বাঁচাও’ বলে চিৎকার করছিল।
শিশু তাসিনের মা ববিতা বেগম কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি আমার আমার নরপশু স্বামীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
ফুলবাড়ী থানার ওসি এসআই আব্দুর রহিম বলেন, ‘শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মুরাদের স্ত্রী ববিতা বেগম তার ছেলে তাসিনকে নিয়ে সংসার করলেও তিনি তাকে মেনে নিতে পারছিলেন না। শিশুটিকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা থেকেই তিনি পুকুরে ফেলে হত্যার চেষ্টা করেছেন। এ ব্যাপারে থানায় একটি হত্যার চেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিকে কুড়িগ্রাম আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।’
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ