তিন দফা দাবি আদায়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চলমান কর্মসূচি চলছে। গতকাল বুধবার দিনভর আন্দোলনের পর রাতেও শিক্ষার্থীরা কাকরাইল মসজিদ মোড়ে অবস্থান করেন। আজও সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি রাকিব হাসান বলেন, সকাল তিনটি বাসে করে শিক্ষার্থীরা আমাদের আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য রওনা হয়েছে। এছাড়া ঢাকার অন্যান্য স্থান থেকে শিক্ষার্থীরা জড়ো হচ্ছেন।
৭০ শতাংশ আবাসন ভাতাসহ তিন দফা দাবিতে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি নিয়ে যাত্রা শুরু করেন জবি শিক্ষার্থীরা।
এদিন দুপুর ১টার দিকে মৎস্য ভবন পেরিয়ে কাকরাইল মসজিদের কাছাকাছি পৌঁছালে মিছিলটি পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এসময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিপেটা, টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১০ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যমুনা অভিমুখে কাকরাইল মসজিদের সামনের সড়কে বসে পড়েন। তারা সেখানে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদী স্লোগান দিতে থাকেন। দুপুর আড়াইটার পর বৃষ্টি শুরু হলেও বৃষ্টিতে ভিজেই তারা স্লোগান তোলেন- ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেবো রক্ত’।
আন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবি হলো
১. আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে।
২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে।
৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস