বরগুনায় দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রার পথসভায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে মঞ্চে দেখে ‘দুলাভাই দুলাভাই’ বলে স্লোগান দিয়েছে বরগুনার ছাত্র-জনতা। একই সময়ে মঞ্চে বরগুনার আরেক জামাই এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক খান তালাত মাহমুদ রাফিও উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার (১৪ জুলাই) বিকেলে বরগুনার প্রেসক্লাব সংলগ্ন সদর রোড এলাকার এনসিপি আয়োজিত পথসভার মঞ্চে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জুলাই আন্দোলনের পর সার্জিস আলম বরগুনা সদর উপজেলার গৌরীচন্না ইউনিয়নের বাসিন্দা সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল লুৎফর রহমানের মেয়ে রাইতাকে বিয়ে করেন। রাফি বিয়ে করেন সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক মো. জাকির হোসেনের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসী মিতুকে। এ কারণে তাদেরকে একই মঞ্চে দেখে উপস্থিত ছাত্র-জনতা ‘দুলাভাই দুলাভাই’ স্লোগানে মুখরিত করেন।
পথসভায় বক্তব্যের শুরুতে সারজিস আলম বলেন, একটা রাজনৈতিক দলের সদস্য হিসেবে আমার বলার মতো অবস্থা নেই। কারণ আমি আমার নিকট আত্মীয়র বাড়ি যাওয়ার পূর্বে আপনাদের সামনে এসে হাজির হয়েছি। আমি এখন পর্যন্ত আমার নিকট আত্মীয় যে, তার বাসায় যাইনি। এটা আমার সৌভাগ্যের বিষয় বরগুনায় ছাত্র-জনতা তরুণ প্রজন্মের মাঝে এসে এই মঞ্চে দাঁড়াতে পেরেছি।
পরে তিনি তার বক্তব্যে বলেন, যে রাস্তা হয়ে বরিশাল দিয়ে বরগুনায় এসেছি ওই রাস্তা দেখে মনে হয়েছে একশোরও বেশি মরণ ফাঁদ রয়েছে। বরগুনার মানুষের জন্য যতটুকু সোজা রাস্তা আছে তার চেয়ে বেশি রাস্তায় বাঁক আছে। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারসহ এনসিপির পক্ষ থেকে কমিটমেন্ট করতে চাই আগামীর বাংলাদেশে বরগুনায় যারা রাজনীতি করতে চাইবে, তাদেরকে স্পষ্ট অঙ্গীকার করতে হবে- বরিশাল থেকে বাইপাস হয়ে বরগুনা পর্যন্ত মরণ ফাঁদ থেকে বরগুনার মানুষকে মুক্তি দিতে হবে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন প্রসঙ্গে সারজিস বলেন, হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। সে নাকি দক্ষিণবঙ্গকে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু বরগুনার রাস্তাঘাট গর্ত আর পানি দিয়ে ভেসে যাচ্ছে। বরগুনার হাসপাতাল সম্পর্কেও খোঁজখবর নিয়ে জেনেছি এ বছর শুধুমাত্র ডেঙ্গুতে সব থেকে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বরগুনায়। হাসপাতালগুলো একেকটি লুটপাটের কেন্দ্র তৈরি হয়েছে। কর্মচারীরা একেকজন বড় বড় নবাব হয়েছে। এছাড়াও হাসপাতালে ডাক্তার থাকে না।
জুলাই আন্দোলন চলাকালীন বরগুনার বিষয়ে তিনি বলেন, বরগুনার সহযোদ্ধারা বলেছে অভ্যুত্থানের আন্দোলনের সময় বরগুনার ওসি সামনে থেকে লাঠিচার্জ করেছে। বরগুনার এসপি থেকে শুরু করে পুলিশে যারা রয়েছেন সকলকে স্পষ্ট করে বলি, আপনারা বরগুনার জনগণের পুলিশ হয়ে উঠুন। যদি বরগুনায় কোনো দলের পুলিশ হয়ে ওঠেন তাহলে আগামীর বাংলাদেশে আপনাদের আর জায়গা হবে না।
বাংলা৭১নিউজ/জেসি