লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে প্রভাবশালী মিলিশিয়া নেতা আব্দেল ঘানি আল-কিকলি (‘ঘেনিওয়া’ নামেও পরিচিত) নিহত হওয়ার পর সোমবার (১১ মে) রাত থেকে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে তীব্র গোলাগুলি ও সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। জাতিসংঘ এই পরিস্থিতিকে ‘উদ্বেগজনক’ আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
ত্রিপোলির অন্যতম প্রভাবশালী মিলিশিয়া গোষ্ঠী ‘স্ট্যাবিলিটি সাপোর্ট অথোরিটি’ (এসএসএ)-এর প্রধান ঘেনিওয়া সম্প্রতি প্রতিদ্বন্দ্বী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। স্থানীয় সময় সোমবার রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শহরের বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়।
নিরাপত্তা সূত্র বলছে, এই ঘটনায় অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন, তবে তারা বেসামরিক নাগরিক নাকি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
ত্রিপোলির আবু সালিম ও সালাহউদ্দিনসহ একাধিক এলাকায় ভারী অস্ত্রের গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। বিভিন্ন ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে, শহরের আকাশে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী, রাস্তায় সশস্ত্র মানুষ ও মিলিশিয়া কনভয় ঢুকছে।
স্থানীয় প্রশাসন মঙ্গলবার শহরজুড়ে স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাসিন্দাদের ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। জিএনইউ সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা আবু সালিম এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
জাতিসংঘের লিবিয়া মিশন (ইউএনএসএমআইএল) বলেছে, ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় ভারী অস্ত্র ব্যবহার উদ্বেগজনক। অবিলম্বে সংঘর্ষ থামাতে হবে এবং বেসামরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠ ও কমিউনিটি নেতাদের মাধ্যমে মধ্যস্থতার প্রচেষ্টাকে সমর্থন জানিয়েছে সংস্থাটি।
২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে অপসারণ ও হত্যার মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া লিবিয়ার রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা এখনো বিদ্যমান। পূর্ব ও পশ্চিম লিবিয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বী সরকার এবং তাদের অনুগত মিলিশিয়াদের মধ্যে নিয়মিত দ্বন্দ্ব এবং সংঘর্ষ চলছে।
সূত্র:আল-জাজিরা
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ