বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জনসের (বিএসএনএস) তিন দিনব্যাপী চতুর্থ অন্তর্বর্তীকালীন সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
রোববার (৪ মে) সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিএমইউ উপাচার্য বলেন, এ দেশের প্রেক্ষাপটে চিকিৎসা ব্যয় কমানো গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক একটি জার্নালে দেখা গেছে, এ দেশের এক শতাংশ সার্জারি রোগী ভিক্ষা করে টাকা আনে। ১২ শতাংশ রোগী টাকা আনে চক্রবৃদ্ধি সুদে। তারা সহায়-সম্পত্তি বিক্রি করা ছাড়া কোনো দিনই সেই টাকা শোধ করতে পারে না। বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, চিকিৎসা খরচ বহন করতে গিয়ে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৫০ লাখ মানুষ গরিব হয়ে যায়।
তিনি বলেন, এ দেশের জনসংখ্যা বিশাল। ফলে রোগীও প্রচুর। অনেক উন্নত দেশে আধুনিক যন্ত্রপাতি আছে, কিন্তু রোগী কম। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিত্র আলাদা। সে হিসেবে আমাদের এই খাতে আরও অনেক পদক্ষেপ নেওয়া বাকি।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল হোসেন বলেন, দেশের চিকিৎসকরা প্রতিনিয়ত আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন এবং চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তারপরও নিউরো সার্জারিসহ নানা খাতে চিকিৎসকরা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এখন পিছিয়ে থাকলেও নিউরো অ্যান্ড স্পেইন সার্জারিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দেশের চিকিৎসা শিক্ষা এবং চিকিৎসাসেবা উন্নত করার জন্য সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আশা করি, একসময় দেশের চিকিৎসাখাত আধুনিক হবে এবং মানুষের আস্থা-ভরসায় পরিণত হবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জনসের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদুল হক, সদস্যসচিব ডা. মোহাম্মদ নুরুজ্জামান খান এবং অর্ন্তবর্তীকালীন সভা বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ডা. মাঈনুল হক সরকারসহ দেশি-বিদেশি ৩০০ জনের অধিক নিউরোসার্জন উপস্থিত ছিলেন।
তিন দিনব্যাপী এ আয়োজনে বিএসএনএসের পক্ষ থেকে বৈজ্ঞানিক সম্মেলন, লাইভ সার্জারি, থ্রিডি অ্যানাটমি সেশন এবং অ্যান্ডো ভাস্কুলার সিমুলেশন ইত্যাদি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএন