বাংলা৭১নিউজ, সিলেট: সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকার আস্তানায় অবস্থানকারী জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
আজ দুপুর পৌনে ১টার দিকে তাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হয়।
সিলেটের পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়া সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন।
তিনি বলেন, ‘জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হয়েছে। এখনও তাদের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।’
ঢাকা থেকে সোয়াত বাহিনী সিলেট পৌঁছালেই জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শুরু করা হবে বলেও জানান গোলাম কিবরিয়া।
আজ ভোর থেকেই ‘আতিয়া মহল’ নামের পাঁচতলা বাড়িটি কর্ডন করে রেখেছে আইনশৃংখলা বাহিনী। তবে থেমে গুলির আওয়াজ শোনা যাচ্ছে কর্ডন করা এলাকায়।
পুলিশের দাবি, জঙ্গিরা তিন দফা গ্রেনেড হামলার পর থেমে থেমে গুলিও করছে। জবাবে গুলি ছুঁড়ছে পুলিশও।
এদিকে, বাসার মালিক উস্তার আলী জানান, বেসরকারি একটি কোম্পানির কর্মকর্তা পরিচয়ে বাসাটি ভাড়া নিয়েছিলেন কাওসার আহমদ নামের এক যুবক।
তিনি জানান, গত জানুয়ারি মাসে বাসাটি ভাড়া নেন কাওসার। ভাড়া নেয়ার সময় তিনি তার স্ত্রীর নাম মর্জিনা বলেও জানিয়েছিলেন।
পুলিশের ধারণা, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় সাম্প্রতিক জঙ্গিবিরোধী অভিযানের পর ওই বাড়িতে আস্তানা গেড়েছে নব্য জেএমবির জঙ্গিরা। এই আস্তানায় নব্য জেএমপির শীর্ষনেতা মুসা ও নারী জঙ্গি মর্জিনাসহ কমপক্ষে তিন জঙ্গি আশ্রয় নিয়েছেন।
ঢাকা-চট্টগ্রামে অভিযানের পর আটক জঙ্গিদের দেয়া তথ্যেই ৫তলা বিশিষ্ট আতিয়া মহল আজ ভোরে ঘেরাও করে পুলিশ।
এই অভিযানের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার রাতেই সিলেট আসে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের একটি দল।
সংশ্লিষ্টরা জানান, অভিযানের আগে ওই বাড়ির মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেয় আইনশৃংখলা বাহিনী। লোকজন সরিয়ে নেয়া হয় পার্শ্ববর্তী তিনতলা ভবন থেকে।
সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার রোকনউদ্দিন জানান, আতিয়া মহলে জঙ্গিদের অবস্থান সম্পর্কে অনেকটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। কমপক্ষে তিন পুরুষ ও এক নারী জঙ্গির অবস্থান প্রত্যক্ষ করা গেছে।
বাংলা৭১নিউজ/এম