বাংলা৭১নিউজ, টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্যকর শিশু জুয়েল হাসান হত্যা মামলার রহস্য উৎঘাটন করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শেখ সামিদুল ইসলামের আদালতে আটককৃত রহিম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এর আগে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বৃহস্পতিবার ভোরে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সদর উপজেলার মাগুরাটা গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহিমকে আটক করে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৯ নভেম্বর টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মাগুরাটা গ্রামের ওই শিশু (৬) পাশের বাড়িতে ইসলামী সভায় যায়।
কিন্তু সে আর বাড়িতে ফিরে না আসায় তাকে অনেক খোজাঁখুজি করা হয়। সকালে চোখ উপড়ানো অবস্থায় গ্রামের একটি ধানক্ষেতে তার লাশ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় নিহত শিশুর পিতা বাদি হয়ে পরদিন টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়।
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অশোক কুমার সিংহ (পিপিএম) জানান, আব্দুর রহিম স্বীকারোক্তিতে জানায়, ওই শিশুর মায়ের সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সব সময় সে এই অবৈধ সম্পর্কে বাধা হয়ে দাড়াতো। এ কারণে গত কয়েক মাস ধরে সে তাকে হত্যা করার ফন্দি আটে। গত বছরের ১৯ নভেম্বর রাতে পাশের বাড়ির সভায় তাকে একা পেয়ে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে হত্যা করে ধানক্ষেতে লাশ ফেলে রাখে।
বাংলা৭১নিউজ/এন