সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:২৮ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
সাক্ষীর জবানবন্দি : হাসপাতালে শেখ হাসিনা ‘নো রিলিজ, নো ট্রিটমেন্ট’ নির্দেশ দেন ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশের পর্যটন খাত এখনো অনেক পিছিয়ে : শিল্প উপদেষ্টা চাকরি পাওয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের তথ্য যাচাই করছে সরকার: উপদেষ্টা সেপ্টেম্বরে স্কুল ফিডিং কার্যক্রম শুরু: গণশিক্ষা উপদেষ্টা বাংলাকে ‘বাংলাদেশের ভাষা’ বলায় চটলেন মমতা রাশিয়াকে যুদ্ধে অর্থায়ন করছে ভারত, অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের আগ পর্যন্ত অভিযান চলবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সমালোচনার পাশাপাশি ভালো দিকগুলোও দেখতে হবে : অর্থ উপদেষ্টা ইয়েমেন উপকূলে নৌকাডুবি, ৬৮ শরণার্থী ও অভিবাসীর মৃত্যু

১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজি ও ভাগ-বাঁটোয়ারার বিবরণ দিলেন রিয়াদ

বাংলা৭১নিউজ ঢাকা:
  • আপডেট সময় সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০২৫
  • ১৬ বার পড়া হয়েছে

‘সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরের কাছ থেকে দশ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করি’—আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ কথা বলেছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বহিষ্কৃত আহ্বায়ক সদস্য আবদুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ। 

রবিবার (৩ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাত উল্লাহর খাস কামরায় রিয়াদ জবানবন্দি দেন।

গত ২৭ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা রিয়াদকে এই মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ডে শেষে আদালতে হাজির করার পর তিনি স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে চান।

জবানবন্দিতে চাঁদাবাজির ঘটনায় নিজের ভূমিকা ও সহযোগীদের কার কী ভূমিকা, তা বর্ণনা করেছেন বলে জানা গেছে।
আদালতের একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, রিয়াদ তার জবানবন্দিতে বলেছেন, তিনি ও তার সহযোগীরা প্রথমে ১০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেন। এই টাকার মধ্যে রিয়াদ নিজে পাঁচ লাখ টাকা রাখেন। অন্য ৫ লাখ টাকা অন্যদের মধ্যে ভাগ-বাঁটোয়ারা করে দেন।

নিজের পাঁচ লাখ টাকা তিনি তার বাড্ডার বৈঠাখালির একটি বাড়ির সাততলা রুমে রাখেন। সেখান থেকে কিছু টাকা তিনি খরচ করেন। আর ২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা ওয়ারড্রবের মধ্যে রাখেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুলিশ ওই টাকা উদ্ধার করে।

জবানবন্দিতে তিনি জানিয়েছেন, পুলিশের উদ্ধার করা পুরো টাকাটাই শাম্মী আহমেদের বাসা থেকে নেওয়া চাঁদার টাকা। রিয়াদ জবানবন্দিতে আরো বলেন, তারা শাম্মী আহমেদের স্বামীকে আওয়ামী লীগ ট্যাগ দিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা আদায়ের চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি ১০ লাখ টাকা দেন।

তিনি স্বীকার করেছেন, তার সহযোগী গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপু, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব গত ২৬ জুলাই বাদীর কাছ থেকে আরও ৪০ লাখ টাকা নিতে গুলশানের বাসায় গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ।

এই পাঁচজনসহ আরো দুই-তিনজন চাঁদাবাজিতে জড়িত ছিলেন বলে তিনি স্বীকার করেন।

জবানবন্দিতে রিয়াদ বলেছেন, তিনি নিজে ও জানে আলম অপু চাঁদাবাজির নেতৃত্ব দিয়েছেন। তারা গুলশানের আরো কয়েকজনের কাছ থেকে চাঁদা নিয়েছেন বলেও স্বীকার করেছেন।

বাংলা৭১নিউজ/এবি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2018-2025
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com