শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:২৯ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
কারও দলীয় স্বার্থ বাস্তবায়ন করা এই সরকারের কাজ নয় : তারেক রহমান মারা গেছেন ডিএনএ গঠন আবিষ্কারক নোবেল জয়ী বিজ্ঞানী ওয়াটসন বিনিয়োগ আনতে চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন শিক্ষকদের আন্দোলনে পড়াশোনার ক্ষতি হলে কঠোর ব্যবস্থা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা সারা দেশে নির্বাচনের জোয়ার বইছে, ফেব্রুয়ারিতেই ভোট : প্রেস সচিব আমি নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে আসিনি: আসিফ নজরুল বাংলাদেশের সঙ্গে বিবাদ চায় না ভারত: রাজনাথ সিং দুদিনের সফরে পাবনায় পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি ‘জঘন্য ঘটনায়’ ক্রিকেটাঙ্গনে তোলপাড় উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধান উপদেষ্টা

ইতালি যাওয়া হলো না প্লাবনের, লিবিয়ায় নির্যাতনে মৃত্যু

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫
  • ৯৫ বার পড়া হয়েছে
উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশায় ইতালি যেতে দেড় বছর আগে বাড়ি থেকে বের হন আলমডাঙ্গা উপজেলার খেজুরতলা গ্রামের জুনায়েদ হাসান প্লাবন (২৩)। স্থানীয় বেলগাছি গ্রামের সাগর নামে এক দালাল তাকে ইতালি পাঠানোর দায়িত্ব নেয়। এই দালাল সাগর পর্যায়ক্রমে ৪০ লাখ টাকা নিলেও প্লাবনকে ইতালি নিতে পারেনি।

বরং ভুক্তভোগী প্লাবনকে লিবিয়ায় আটকে রেখে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার লিবিয়া থেকে ফোনে প্লাবনের মৃত্যুর খবরটি পরিবারকে জানানো হয়েছে। জানা গেছে, জুনায়েদ হাসান প্লাবন নাদদাহ ইউনিয়নের খেজুরতলা গ্রামের কৃষক জমসেদ আলীর ছেলে। দেড় বছর আগে বেলগাছি গ্রামের সাগর নামে এক দালালের মাধ্যমে প্লাবনকে ইতালি পাঠানোর চুক্তি হয়। বলা হয়েছিল, প্রথমে লিবিয়া, সেখান থেকে সাগর পথে পৌঁছে দেওয়া হবে স্বপ্নের দেশে।

সেই চুক্তির আড়ালে ছিল ভয়াবহ প্রতারণা।সাগরের আত্মীয় জিমের মাধ্যমে দফায় দফায় ৪০ লাখ টাকারও বেশি পাঠানো হয়। ছেলেকে ফিরে পেতে শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে দেন বাবা জমসেদ আলী। কিন্তু কিছুতেই মুক্তি মেলেনি।

কিছুদিন পর পর  মারধরের ভিডিও পাঠিয়ে আরো টাকা আদায়ের চেষ্টা চলতে থাকে।প্লাবনের বড় বোন স্বপ্না খাতুন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “দেড় বছর আগে সাগর ভাইয়ের হাতে দিয়েছিলাম ভাইটারে। জিম এসে এসে টাকা নিতো। আমরা ভিডিও দেখে কাঁদতাম, টাকা দিতাম। শুনেছি, ভাইরে বিক্রি করে দিয়েছে আরেক দালালের কাছে।

দুই মাস ধরে মারছে, শেষমেশ মেরে ফেলছে।”বৃদ্ধ পিতা জমসেদ আলী চোখের জল মুছতে মুছতে বলেন, “আমার ছেলেটারে ভালো জীবনের আশায় পাঠাইছিলাম, সেই ছেলেই ফিরলো না। শুনি মারা গেছে, কিন্তু ঠিকমতো জানতেও পারি না। যোগাযোগ বন্ধ।”

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান পিপিএম জানান, “ঘটনাটি আমরা লোকমুখে শুনেছি। মানবিক কারণে পরিবারটির পাশে দাঁড়াতে এসেছি। ছেলেটি আদৌ মারা গেছে কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।”

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2018-2025
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com