সারাদেশে বর্তমানে পাঁচশোর বেশি ব্যক্তির কাছে একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) রয়েছে উল্লেখ করে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর।
তিনি বলেছেন, সারাদেশে পাঁচশোর বেশি ডাবল এনআইডি রয়েছে। আগামী সপ্তাহে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখতে পারবেন। ১৩ কোটির বেশি তথ্য একটা একটা করে খোঁজা সম্ভব নয়। কেউ যদি তথ্য দেয় আর আমরা যদি দেখতে পাই তাহলে ব্যবস্থা নিই।
সোমবার (৫ মে) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে তিনি এসব তথ্য জানান।
এনআইডির ডিজি বলেন, জেলা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা পর্যায়ে এনআইডি সংশোধনের যে ক্ষমতা ছিল সেটা জেলা কর্মকর্তাকেও দিচ্ছি। মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে যৌক্তিক আবেদনগুলো কমিশন দ্রুত অনুমোদন দিচ্ছে।
কমিশন ও সচিবালয় মিলে মানুষেকে দ্রুত সেবা দিতে চাই। আমাদের এনআইডি অনুবিভাগে প্রচুর আবেদন ঝুলে আছে। এগুলো যেন দ্রুত নিষ্পত্তি করতে পারি সেজন্য দায়িত্ব বণ্টন করে দিচ্ছি।
তিনি বলেন, ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের মাঝেও একটু ক্ষমতা পরিবর্তন করছি, যেন সেবাদান সহজ হয়। আমাদের আঞ্চলিক পর্যায়ে ক্যাটাগরি করার ক্ষমতা দেওয়া আছে। আমরা মনিটরিং করছি। অনেকেই হয়তো ক্যাটাগরি ঠিকমতো করছে, কেউ কেউ করছে না।’
রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গে ডিজি হুমায়ুন কবীর বলেন, রোহিঙ্গাদের বিষয়ে ডাটাবেজটা গত সপ্তাহে এপিআইয়ের মাধ্যমে ইসিকে দেওয়ার কথা ছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অন্য দপ্তরগুলো মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এ তথ্য আমাদের কাছে থাকবে। যেখান থেকেই হোক তথ্যটা যেন পাই, আমরা তথ্যটুকু পেলেই খুশি। রোহিঙ্গা আর বিদেশিদের আমরা আমাদের ডাটাবেজে প্রবেশ করতে দেবো না।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক যে সিদ্ধান্ত হয়েছে মিডিয়ার লোকদের এনআডি নিয়ে সেমিনারে রাখবো। যে কর্মকর্তা সহজীকরণের চিন্তাভাবনা করেন তাদের রাখবো। এর বাইরে আমরা সুধীজনকে রাখবো। এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। এ মাসের মধ্যে হবে।
‘রাজনৈতিক দলকে দরকার হবে কি না বুঝতে পারছি না। যদি মনে হয় ভালো হয় তাহলে রাখবো। রোহিঙ্গা সার্ভার কোন মন্ত্রণালয়ে যাবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পাইনি। আগের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে এ সপ্তাহের মধ্যে আমরা পেয়ে যেতাম। এখন সরকারের যদি বিকল্প সিদ্ধান্ত হয়, তাহলে সার্ভার যেখানেই থাকুক আমরা রোহিঙ্গাদের আঙুলের ছাপ যাচাই করতে পারলেই হবে।’
এনআইডি ডিজি আরও বলেন, প্রবাসী ভোটার আমরা অস্ট্রেলিয়ায় চালু করেছি। সেখানে নিয়মিত ভোটার হচ্ছে। এখন আটটটি দেশে চলছে। আগামী সপ্তাহ নাগাদ কানাডায় শুরু হবে। তখন নয়টি দেশ হবে। অন্য দেশগুলোতে চালু করার ক্ষেত্রে যে সমস্যা হচ্ছে সেটা দূতাবাসে জায়গার অভাব।
তিনি বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিটিং করেছি। আগামী সপ্তাহে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করবো। সমস্যা চিহ্নিত ও সমাধান করে যেন ৪০টি দেশে কার্যক্রম (প্রবাসী ভোটার) এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। আমরা গত কয়েক মাসে সাত-আটটি দেশে করতে পারলে ভালো হতো। এ মাসের শেষ নাগাদ আরেকটু অগ্রগতি হবে বলে আশা করি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ