বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:২৩ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ

মাছ-মাংসের বাজারে এখনও স্বস্তি ফেরেনি

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৩৮ বার পড়া হয়েছে

টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল হলেও মাছ-মাংসের দামে এখনও স্বস্তি ফেরেনি।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী আড়ৎ, শনিরআখড়া, রায়েরবাগসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে— প্রায় সব ধরনের মাছ ও মাংসের দাম আগের তুলনায় ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি রয়েছে।

বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কমে যাওয়া ও পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধির কারণে দাম বাড়ছে। অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, বেতন-ভাতা অপরিবর্তিত থাকলেও বাজারে প্রতিদিনই নতুন দামের চাপ পড়ছে।

কেনাকাটা করতে আসা রায়হান হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, গত মাসেও রুই মাছ কিনেছি ৩২০ টাকায়, এখন সেটা ৩৮০ টাকা। গরুর মাংসের দাম ৭৫০ থেকে বেড়ে ৭৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে, বিক্রেতারা দাবি করছেন, পাইকারি বাজার থেকেই দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চাষিরা ফিড ও পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বেশি দামে মাছ বিক্রি করছেন।

বর্তমানে রাজধানীর বাজারে রুই, কাতলা, পাঙ্গাস ও তেলাপিয়ার দাম প্রতি কেজিতে গড়ে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকার মধ্যে।

এছাড়া পাবদা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, শিং আকার ভেদে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, কাচকি ৩৬০ থেকে ৪০০ টাকা, চিংড়ি আকার ভেদে ৮০০ থেকে ১৩০০ টাকা, নলা, রুই মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, কাতল ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে তেলাপিয়া ও পাঙ্গাসের দাম কিছুটা কম রয়েছে। প্রতি কেজি পাঙ্গাশ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা ও তেলাপিয়ার ২২০ থেকে ২৫০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে।

এদিকে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়, আর খাসির মাংস ১,১০০ থেকে ১,২০০ টাকায়। মুরগির দামও কিছুটা বেড়েছে— ব্রয়লার ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা এবং সোনালী ৩০০ থেকে ৩২০ টাকার কাছাকাছি বিক্রি হচ্ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, টানা বৃষ্টি ও পরিবহন ব্যয়ের চাপ বাজারে অস্থিরতা তৈরি করেছে। তারা মনে করছেন, সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দাম কিছুটা কমতে পারে।

বেসরকারি চাকরিজীবী মোহাম্মদ হোসেন বলেন, রাজধানীর কাঁচাবাজারে মাছ ও মাংসের দামে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যায়নি। গত সপ্তাহের তুলনায় এবারও দাম প্রায় একই রয়েছে, ফলে বাজারে না বেড়েছে স্বস্তি, না দেখা দিয়েছে অতিরিক্ত চাপ।

বিক্রেতারা জানিয়েছেন, সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় দামে বড় ওঠানামা হয়নি। তবে ক্রেতারা বলছেন, আগের মতো দাম স্থির থাকলেও তা এখনও বেশি— সাধারণ মানুষের আয়-ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

বিক্রেতাদের দাবি, এই দামে তারা তেমন লাভ করছেন না। অন্যদিকে, ক্রেতারা বলছেন— ‘দাম না বাড়লেও কমছে না, তাই স্বস্তিও নেই।’

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2018-2025
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com