সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
ঢাবি প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় স্বার্থে বস্তুনিষ্ঠ ও জবাবদিহিমূলক গণমাধ্যম অপরিহার্য : রিজওয়ানা হাসান মুক্তবুদ্ধি-প্রগতির সংগ্রামের উজ্জ্বল বাতিঘর বদরুদ্দীন: প্রধান উপদেষ্টা অক্টোবরের শুরুতে ১৫০ উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল বেআইনি পথে পা বাড়ানো যাবে না, এসিল্যান্ডদের উদ্দেশ্যে ভূমি উপদেষ্টা ২০১৪, ১৮ ও ২৪ সালের নির্বাচন প্রক্রিয়া পুলিশকে ভুলে যেতে হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বদরুদ্দীন উমর আর নেই রাশিয়া-ইউক্রেন বাফার জোনে বাংলাদেশ ও সৌদি থেকে সেনা নেওয়ার পরিকল্পনা সন্ত্রাসীদের স্থান এদেশে হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নাইজেরিয়ায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় অন্তত ৬০ জন নিহত

রিসোর্ট থেকে গ্রেপ্তার সাবেক অতিরিক্তি আইজিপি শামসুদ্দোহা

বাংলা৭১নিউজ ঢাকা:
  • আপডেট সময় রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১৭ বার পড়া হয়েছে

চেক জালিয়াতি মামলায় সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি শামসুদ্দোহাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ রবিবার ঢাকার নবাবগঞ্জে অবস্থিত নিজ রিসোর্ট ওয়ান্ডারল্যান্ড গ্রিন পার্ক থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, শামসুদ্দোহাকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে তোলা হয়েছে।

জানা গেছে, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ড. শামসুদ্দোহা খন্দকার নিজ বাহিনীতে দুর্নীতির ‘বরপুত্র’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। অবৈধ অর্থ উপার্জনে তার জুড়ি মেলা ভার। বিশেষ করে প্রেষণে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান পদে যোগ দিয়ে হয়ে উঠেছিলেন বেপরোয়া। বিভিন্ন নদনদী খননকাজের টেন্ডারের কমিশন হিসাবে নিয়েছেন শত শত কোটি টাকা।

এ ছাড়া নদী দখল করে গড়ে তোলা বিভিন্ন শিল্পকারখানা মালিকদের কাছ থেকেও বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। অবৈধ পথে উপার্জিত আয় দিয়ে তিনি বিপুল সম্পদ গড়ে তুলেছেন। এর মধ্যে শত বিঘার ওপর খামারবাড়ি গড়ে তুলেছেন ঢাকার উপকণ্ঠ নবাবগঞ্জে। এই খামারে বিনিয়োগ করা হয়েছে কয়েকশ কোটি টাকা।

পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (অ্যাডিশনাল আইজিপি) ড. শামসুদ্দোহা খন্দকার এবং তার স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এতে ৬৬ কোটি ৪৮ লাখ ৬৯ হাজার ৯৮১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদক সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম গত বছরের জুলাই মাসে এ চার্জশিট জমা দেন। 

দুদকের সূত্রমতে, সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান ছিলেন। চাকরি করার সময় তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অর্থ আয় করেন। এসব অর্থ বিভিন্ন তফশিলি ব্যাংকের হিসাবে সন্দেহজনক উৎসের অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও অস্বাভাবিক লেনদেন করেন। এই প্রক্রিয়ায় তিনি ২১ কোটি ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা ব্যাংক হিসাবে জমার পর বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় তুলে তার অবস্থান প্রকৃতি, উৎস, মালিকানা আড়াল করার চেষ্টা করেছেন।

আরও জানা গেছে, দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে তিনি ৮ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ২২১ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপনসহ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়েছেন। এছাড়া দুদকের অনুসন্ধানে ২ কোটি ৮৭ লাখ ৩ হাজার ৭৮ টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেছে। যে কারণে তার বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ২৭(১) এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।

এ ছাড়া তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ২৮ কোটি ৪৭ লাখ ৩ হাজার ৮৯১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করা এবং ২৭ কোটি ৪৮ লাখ ৮২ হাজার ৪৯১ টাকার জ্ঞাতআয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। 

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2018-2025
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com