চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫৩ শতাংশ। ফলে গরমের মাত্রা অসহনীয় হয়ে উঠেছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে খুব বেশি না হলেও আর্দ্রতার মাত্রা বেশি থাকার কারণে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে। আগামী কয়েক দিন এমন অবস্থা থাকতে পারে।
শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, প্রচণ্ড গরমের কারণে রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল কমে গেছে। বিশেষ করে দুপুরের দিকে শহর ফাঁকা হয়ে পড়ে।
চুয়াডাঙ্গা শহরের বড় বাজার এলাকার ডাব বিক্রেতা হারুন মিয়া বলেন, রোদ আর গরমে বিক্রিও কমে গেছে। মানুষ ঘর থেকে বের হতে চায় না।
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বাসিন্দা গৃহিণী সালমা খাতুন বলেন, সকালে কাজকর্ম সারতে না পারলে পরে আর সম্ভব হয় না। প্রচণ্ড ঘাম আর অস্বস্তির জন্য ঠিকমতো নিশ্বাসও নিতে কষ্ট হচ্ছে।
শহরের কলেজ মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা রিকশাচালক লিয়াকত আলী বলেন, ঘাম আর গরমে নাকাল হতে হয়। কিন্তু পেটের দায়ে বের হতেই হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন জানান, এ ধরনের গরমে ডিহাইড্রেশন ও হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। সবাইকে পরামর্শ দিচ্ছি, প্রয়োজনে ছাড়া বাইরে বের না হতে এবং প্রচুর পানি ও তরল খাবার খেতে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। ফলে অস্বস্তিকর গরম পরিস্থিতি আরও কয়েক দিন থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ