চকরিয়ায় চোর কর্তৃক এক পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষিত হয়েছে। ঘটনার সময় ওই পুলিশ সদস্য কক্সবাজারে ট্যুরিস্ট পুলিশের নিজ কর্মস্থলে ছিলেন বলে জানা গেছে।
সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের সিকদার পাড়া আলাউদ্দিন চেয়ারম্যানের বাড়ির রাস্তার একটি ভাড়া বাসায় এ অঘটন ঘটেছে।
জানা যায়, চোর একটি বাঁশের আগায় ধাতব পদার্থ লাগিয়ে জানালা দিয়ে কৌশলে দরজার হুক খোলে ঘরে প্রবেশ করে। চোর বেশধারী দুর্বৃত্ত টর্চ লাইট জ্বালিয়ে একটি ধারালো দা’য়ের ভয় দেখিয়ে রান্না ঘরে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।
এ সময় তার ছোট্ট দুটি শিশু ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। চোর ঘরে থাকা নগদ আড়াই হাজার টাকা ও ২টি মোবাইল ফোন নিয়ে সটকে পড়ে। পরে ওই নারী ও সন্তানদের কান্না শুনে পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়ারা এগিয়ে আসে।
খবর পেয়ে ওই কনস্টেবল বাসায় এসে বিস্তারিত জেনে মঙ্গলবার চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করলেও অজ্ঞাত চোরকে বুধবার সকাল পর্যন্ত পাকড়াও করা সম্ভব হয়নি।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শফিকুল ইসলাম জানান, আশেপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। মুখোশ পরা চোরকে গ্রেফতারে একাধিক টিম কাজ করছে।
তিনি কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশে কর্মরত। তার স্ত্রী ও সন্তানরা ছিলেন ঘরে। সোমবার গভীর রাতে চকরিয়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ভাড়া বাসায় ঘটে এ ঘটনা ঘটে।
ওই নারীর স্বামী ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার বিস্তারিত শুনে থানায় যান। পরদিন চকরিয়া থানায় নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ, চুরি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে মামলা করেন।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, রাত আনুমানিক ৩টার দিকে এক অজ্ঞাতনামা যুবক রান্নাঘরের জানালা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। তার হাতে ছিল একটি ধারালো দা ও একটি টর্চলাইট। ঢুকেই তিনি ঘরের পুলিশের স্ত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর রান্নাঘরে নিয়ে গিয়ে ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।
এ সময় ঘরে থাকা তার ছোট দুটি শিশু সন্তান আতঙ্কে কাঁদতে থাকে। দুর্বৃত্ত চলে যাওয়ার পর কান্নাকাটি শুনে পাশের ভাড়াটিয়ারা ছুটে আসে।
পরে রাতেই ওই নারীর স্বামী ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার বিস্তারিত শুনে থানায় যান। পরদিন সকালে চকরিয়া থানায় নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ, চুরি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে মামলা করেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন চকরিয়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, পুলিশ কনেস্টবলের স্ত্রীকে ধর্ষণসহ একাধিক অভিযোগে মামলা নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে অভিযুক্তকে শনাক্ত ও গ্রেফতারে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ