কোনো সফরে এক ম্যাচকে যদি সিরিজ ধরা হয়, তাহলে বাংলাদেশ এর আগেও পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে। সেটা ২০১৫ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজার অধিনায়কত্বে।
সে বছর মাশরাফির নেতৃত্বে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করেছিল বাংলাদেশ। টাইগারদের শৌর্য-বীর্য ও শ্রেয়তর নৈপুণ্যের কাছে ‘বাংলা ওয়াশ’ হয়েছিল শহিদ আফ্রিদি, মোহাম্মদ হাফিজ, আহমেদ শেহজাদ, মুখতার আহমেদ, মোহাম্মদ রিজওয়ান, হারিস সোহেল, সোহেল তানভির, সরফরাজ আহমেদ, ওমর গুল, ওয়াহাব রিয়াজ ও সাইদ আজমলদের নিয়ে গড়া পাকিস্তান।
সফল ওয়ানডে সিরিজের পর পরই একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল। শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সেই টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে হেসেখেলে ৭ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছিল টাইগাররা। ওই ম্যাচে টাইগারদের জয়ের রূপকার ছিলেন মূলত ৩ জন- অভিষিক্ত পেসার মোস্তাফিজুর রহমান (৪ ওভারে ২/২০), সাকিব আল হাসান (৪ ওভারে ০/১৭ ও বল হাতে ৪১ বলে ৫৭*) ও সাব্বির রহমান রুম্মন (৩২ বলে ৫১*)।
ঠিক পরের বছর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এশিয়া কাপ হয়েছিল বাংলাদেশে। ২০১৬ সালের ২ মার্চ সেই আসরে পাকিস্তানকে আবার ৫ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
কিন্তু ইতিহাস-পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, এরপর ১ বা ২ কিংবা ৩ ম্যাচের সিরিজে আর জেতেনি বাংলাদেশ। মাঝে পাকিস্তানের সাথে দেশে (একবার ২০২১ সালে) আর দেশের বাইরে (১ বার) মিলে মোট দুইবার ৩ ম্যাচের সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। একবারও সিরিজ জিততে পারেনি টাইগাররা। বরং প্রতিবার নাস্তানাবুদ হয়েছে।
এর মধ্যে ২০২১ সালে ঘরের মাঠে মানে হোম অব ক্রিকেটেই তিন ম্যাচের সিরিজে পাকিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। আর এ বছর মে-জুনে লাহোরেও তিন ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ সবগুলো ম্যাচ হেরেছে।
এবার আগের সেই ব্যর্থতা সুদে-আসলে পূরণের সুবর্ণ সুযোগ এসেছে লিটন দাসের দলের সামনে। পাকিস্তানকে তিন ম্যাচের পূর্ণাঙ্গ টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথমবার হারানোর খুব বড় ও মোক্ষম সুযোগ এসেছে। আর একটি মাত্র জয়েই পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ বিজয়ের স্বাদ পাবে বাংলাদেশ।
গেল রোববার প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটে জেতার পর আজ মঙ্গলবার শেরে বাংলায় সালমান আলি আগার দলকে হারাতে পারলেই এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। টাইগাররা কি তা পারবে? সেটি দেখার জন্য শেরে বাংলায় সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হওয়া ম্যাচের দিকে রাখতে হবে কড়া দৃষ্টি।
বাংলা৭১নিউজ/এবি