হিজবুল্লাহর ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল শেখ নাইম কাসেম স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ বজায় রাখতে সংগঠনটির অস্ত্র অপরিহার্য, এবং তা ছাড়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় লেবানন-ইসরায়েল উত্তেজনা নিরসনে আনা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, আমরা আত্মসমর্পণ করবো না এবং ইসরায়েল আমাদের অস্ত্র কেড়ে নিতে পারবে না।
এক ভিডিও বার্তায় কাসেম বলেন, অস্ত্র ছাড়া প্রতিরোধ সম্ভব নয়। হিজবুল্লাহর অস্ত্র লেবাননের নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য, বিশেষ করে যখন দেশটি অস্তিত্বগত হুমকির মুখে রয়েছে।
এই মন্তব্য ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। মার্কিন বিশেষ দূত থমাস ব্যারাক, যিনি বর্তমানে তুরস্কে রাষ্ট্রদূত ও সিরিয়া বিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, সম্প্রতি লেবাননের সঙ্গে ইসরায়েলের একটি সমঝোতার প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে হিজবুল্লাহর নিরস্ত্রীকরণ একটি মূল শর্ত হিসেবে উল্লেখ ছিল।
এ বিষয়ে লেবাননের নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী নাওয়াফ সালাম বলেন, হিজবুল্লাহ ২০০০ সালে দক্ষিণ লেবাননকে ইসরায়েলি দখল থেকে মুক্ত করতে বড় ভূমিকা রেখেছে। তবে এখন অস্ত্র রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে থাকা উচিত।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবকে সম্ভাব্য সুযোগ হিসেবে দেখা যেতে পারে, যা ইসরায়েলকে পিছু হটতে বাধ্য করতে পারে। তবে কাসেম তার পাল্টা বক্তব্যে জানান, বর্তমানে লেবানন এক অস্তিত্বগত হুমকির মুখে রয়েছে। এই হুমকি দূর না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রতিরক্ষা কৌশল নিয়ে আলোচনা সম্ভব নয়।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, লেবাননের সেনাবাহিনী ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর থেকে বারবার ইসরায়েলি আগ্রাসন প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়েছে। এ কারণেই হিজবুল্লাহর অস্তিত্ব লেবাননের নিরাপত্তার জন্য জরুরি। সূত্র : আল-জাজিরা।
বাংলা৭১নিউজ/এবি