যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে হঠাৎ বন্যায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ল। রবিবার সকাল পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময়) পানিতে ভেসে অন্তত ৫১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মৃতদের মধ্যে ১৫ জন শিশু। নিখোঁজের সংখ্যাও আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে আপৎকালীন পরিষেবা দফতরের ৮৫০ জনকে। কেউ গাছে বা কোনও নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন কি না, তা দেখতে নদীর আশপাশে টহল দিচ্ছে হেলিকপ্টার।
স্থানীয় সময় শুক্রবার অঙ্গরাজ্যের স্যান অ্যান্টোনিও শহরে প্রবল বর্ষণের ফলে সেখানকার গুয়াদালুপ নদীর পানি প্রায় ৯ মিটার (২৯ ফুট) বেড়ে যায়। গ্রীষ্মকালীন ওই ক্যাম্পটি নদীর ধারেই ছিল। সে সময় ক্যাম্পে অবস্থান করছিল ৭৫০ শিশু।
কের কাউন্টির পুলিশ কর্মকর্তা ল্যারি লেইথা শনিবার সাংবাদিকদের জানান, বন্যায় যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১৫ জনই শিশু। শনিবার সকালে বন্যার পানি সরে যেতে শুরু করলে ওই অঞ্চল থেকে প্রায় ৮০০ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
কের কাউন্টির কাছের শহর কারভিলের নগর ব্যবস্থাপক ডালটন রাইস জানিয়েছেন, ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারী অনেক শিশু এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা (এনডব্লিউএস) জানিয়েছে, কের কাউন্টিতে বন্যার জরুরি অবস্থা মূলত শেষ হয়ে এসেছে। তবে তারা আরও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দিয়েছে এবং বন্যা পর্যবেক্ষণ চালু আছে।
ডালটন রাইস বলেন, উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযানে সহায়তার জন্য এক হাজারেরও বেশি উদ্ধারকর্মী ঘটনাস্থলে আছেন। হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। কিছু মানুষকে গাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সহায়তার জন্য মার্কিন কোস্টগার্ডের হেলিকপ্টারও এসেছে।
তিনি আরও বলেন, ২৭ জন শিক্ষার্থী ছাড়াও আরও অনেকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
শনিবার সকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বন্যা মোকাবিলায় রাজ্য ও স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, বন্যার পানিতে ঘরবাড়ি ও গাছপালা উপড়ে গেছে।
সূত্র: এনবিসি নিউজ, খালিজ টাইমস, আল-জাজিরা
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ