সোমবার, ২৭ মে ২০২৪, ১১:৩৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চট্টগ্রামে ২৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টি, বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত রপ্তানি বাড়াতে অঞ্চলভিত্তিক আম প্যাকেজিং হাউজ তৈরিসহ ৮ দাবি ফের যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হচ্ছে টাইগাররা ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে হাতিয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত পিপিপি পদ্ধতিতে দুই বস্ত্রকল চালুসহ ৫ প্রস্তাব অনুমোদন বাচ্চু পরিবার ও লা মেরিডিয়ানের মালিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন সঞ্জীভা গার্ডেনে ভিডিওকলে শিমুল-‘কসাই’ জিহাদ, দেখাল হত্যার স্থান ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে তিতাস-মেঘনা নদীর পানি বাড়ছে মাদক মামলার ভয় দেখিয়ে ছিনতাই: দুই পুলিশ সদস্যের দণ্ড ঘূর্ণিঝড়ে দুই বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার ক্ষতি ৮৩ কোটি টাকা কঙ্গোতে শান্তিরক্ষা মিশনে যাচ্ছেন পুলিশের ১৮০ সদস্য ঘূর্ণিঝড় রেমাল বিদ্যুৎহীন উপকূলের ১ কোটি ৫৫ লাখ পরিবার ‘সভ্য সমাজে এত নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড হতে পারে না’ ঘূর্ণিঝড় রিমাল ১০ জনের মৃত্যু, দেড় লাখ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত ডিম মজুতের খবর পাওয়া যাচ্ছে, তদারকি করা হবে: কৃষিমন্ত্রী টানা বৃষ্টিতে পানি নিচে নিউমার্কেট এলাকা পানির নিচে ঢাকা পান্থপথে ভেঙে পড়েছে গাছ দিনাজপুরে শ্যালিকা হত্যায় দুলাভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড খুলনায় উপড়ে পড়েছে শত শত গাছ, ভেঙেছে সাইনবোর্ড-বিলবোর্ড

বাংলাদেশের কারাগারে ৪৯৫ বিদেশি বন্দি

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৯
  • ২৯ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: মানবপাচার কেন হয়? দরিদ্রতা, শ্রমের প্রয়োজন থাকলে ডিমান্ড তৈরি হয়। আর ডিমান্ড থাকলে সাপ্লাইও হয়। বাংলাদেশও মানবপাচারের শিকার হয়েছে। কিন্তু অবস্থান পরিবর্তন হয়েছে। যে কারণে বিভিন্ন দেশের ৪৯৫ জন নাগরিক বর্তমানে বাংলাদেশের জেলখানায় বন্দি রয়েছেন। এদের মধ্যে ৮৬ জন মুক্ত হলেও কোনো দেশ তাদেরকে নিতে রাজি হয়নি, এর ফলে অনেকটা বাধ্য হয়েই তারা জেলখানায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর প্যান প্যাসেফিক সোনারগাঁ হোটেলের বলরুমে আয়োজিত মানবপাচার প্রতিরোধবিষয়ক ‘রিজিওনাল কনফারেন্সে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএমর সহযোগিতায় ‘কমবেটিং ট্র্যাফিকিং: রিপেট্রিয়েশন অব ভিকটিমস অব ট্র্যাফিকিং’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ল্যাটিন আমেরিকায় প্রচুর জমি ছিল কিন্তু কাজ করার মানুষ ছিল না। সেখানে জোরপূর্বক হলেও নির্দয়ভাবে আফ্রিকান দেশ থেকে মানুষ ধরে ধরে নিয়ে কাজ করানো হয়েছিল। ইসলামের আগের সময়ও ক্রীতদাস প্রথা ছিল। আসলে ডিমান্ড থাকলে সাপ্লাইও হয়। একটা সময় বাংলাদেশেও মানবপাচার হয়েছে। এখনও হচ্ছে তবে সেটা সংখ্যায় কমে আসছে। এখন যেটা হচ্ছে প্রলুব্ধ করা। বাংলাদেশ থেকে এখন জোর করে নয়, প্রলুব্ধ করে বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে। এতে তারা ভিকটিম হচ্ছে, অনেকে বিভিন্ন দেশে আটকে রয়েছে।

বাংলাদেশের জেলেও ৪৯৫ জন বিদেশি আটকে রয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, এদের মধ্যে ৫৭ জন কনভিকটেড। ৩৫২ জন জেলখানায় রয়েছেন। ৮৬ জন মুক্তি মিললেও তাদেরকে কোনো দেশ নিতে আসছে না। তাদের দায় নিচ্ছে না। অনেক দেশ যাচাই-বাছাই করছে তথ্য। ফলে বাধ্য হয়েই তারা জেলখানায় বন্দি হয়ে রয়েছেন।

মন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের ৪৬৫ কিলোমিটার সীমান্ত। আমাদের মানুষকে জোরপূর্বক, কখনও প্রলুব্ধ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। স্পষ্ট করে বলতে পারি আগের তুলনায় ভালো অবস্থানের দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মানুষ পাচার করা হয়। তবে এখন প্রলুব্ধ হওয়া মানুষদের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে আসছে। অনেকে এখন বাংলাদেশে আসছে নিজেদের ভাগ্য বদলানোর জন্য। বাংলাদেশ থেকে মানবপাচারের ফিগার অনেক কমেছে।

তিনি আরও বলেন, দেশের প্রতিটি জেলায় মানবপাচার রোধে পুলিশের কমিটি রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হয়। এছাড়া, বর্ডার এলাকায় বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বৃটিশ আমল থেকেই বাংলাদেশে রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক পাঠানো হচ্ছে। বর্তমানে ১১ লাখের মতো রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশে রয়েছে। জোরপূর্বক রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের পাঠানো হচ্ছে। ওই সময় যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি বর্ডার খুলে না দিতেন তাহলে নাফ নদী রক্তে লাল হয়ে যেত।

রোহিঙ্গাদের অন্যতম চ্যালেঞ্জ বেঁচে থাকা। ২০১৫ সালে নৌকা দিয়ে বিদেশে যাওয়ার যারা চেষ্টা করছিল, যে ঘটনাটি অনেক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। তখনকার বেশিরভাগই ছিলেন রোহিঙ্গা নাগরিক। এখনও যারা নৌপথে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করছেন তাদের ৮০ ভাগই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী।

ভারতের আদালত থেকে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত বাদল ফরাজিকে বাংলাদেশে আনা হলেও তিনি কারাগারে বন্দি রয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, বাদল ফরাজির বিষয়টা নিয়ে একটি জটিলতা রয়েছে। এখন একটাই পথ খোলা রয়েছে রাষ্ট্রপতি যদি তাকে নির্দোষ ঘোষণা করেন, তাহলেই তিনি মুক্তি পাবেন। কখনও যদি সে সুযোগ আসে, রাষ্ট্রপতি যদি ক্ষমা করেন তাহলে তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।

অনু্ষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আইওএম বাংলাদেশের প্রধান গিওরগি গিগাউরি, সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, অ্যাটসেক ইন্ডিয়ার ন্যাশনাল কোঅর্ডিনেটর মানবেন্দ্র নাথ মন্ডল, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক উপস্থিত ছিলেন।

বাংলা৭১নিউজ/এইচ.এস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com