মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪, ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চট্টগ্রামে ২৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টি, বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত রপ্তানি বাড়াতে অঞ্চলভিত্তিক আম প্যাকেজিং হাউজ তৈরিসহ ৮ দাবি ফের যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হচ্ছে টাইগাররা ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে হাতিয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত পিপিপি পদ্ধতিতে দুই বস্ত্রকল চালুসহ ৫ প্রস্তাব অনুমোদন বাচ্চু পরিবার ও লা মেরিডিয়ানের মালিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন সঞ্জীভা গার্ডেনে ভিডিওকলে শিমুল-‘কসাই’ জিহাদ, দেখাল হত্যার স্থান ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে তিতাস-মেঘনা নদীর পানি বাড়ছে মাদক মামলার ভয় দেখিয়ে ছিনতাই: দুই পুলিশ সদস্যের দণ্ড ঘূর্ণিঝড়ে দুই বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার ক্ষতি ৮৩ কোটি টাকা কঙ্গোতে শান্তিরক্ষা মিশনে যাচ্ছেন পুলিশের ১৮০ সদস্য ঘূর্ণিঝড় রেমাল বিদ্যুৎহীন উপকূলের ১ কোটি ৫৫ লাখ পরিবার ‘সভ্য সমাজে এত নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড হতে পারে না’ ঘূর্ণিঝড় রিমাল ১০ জনের মৃত্যু, দেড় লাখ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত ডিম মজুতের খবর পাওয়া যাচ্ছে, তদারকি করা হবে: কৃষিমন্ত্রী টানা বৃষ্টিতে পানি নিচে নিউমার্কেট এলাকা পানির নিচে ঢাকা পান্থপথে ভেঙে পড়েছে গাছ দিনাজপুরে শ্যালিকা হত্যায় দুলাভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড খুলনায় উপড়ে পড়েছে শত শত গাছ, ভেঙেছে সাইনবোর্ড-বিলবোর্ড

হাজার হাজার মাদক মামলার নিষ্পত্তি নেই কেন?

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ২৫ মে, ২০১৮
  • ১০৭ বার পড়া হয়েছে
ছবি: বিবিসি

বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: সারা দেশে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে নিহতের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে। সারাদেশে আটক হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ।

অপরাধ ঠেকাতে সরকার বেআইনি হত্যার পথ নিয়েছে বলে সমালোচনা উঠতে শুরু করেছে।

বাংলাদেশে মাদক ব্যবসা এবং পাচারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনদের আইনের আওতায় আনার জন্য মাদক বিরোধী আইন রয়েছে।

বাংলাদেশের মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৭ সালে মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে মোট ১১৬১২টি। চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত মামলা হয়েছে ৩২৮৯টি।

মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জামাল উদ্দীন আহমেদ বলছেন, ২০১৭ সালে ২৫৪৪টি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। এর মধ্যে ১০১৬টি মামলায় আসামির সাজা হয়েছে। আর আসামি খালাস পেয়েছে ১৫২৮টি মামলায়।

ওদিকে, সারা দেশে এই বিশেষ অভিযানে গত ১০দিনে ৪৯জন নিহত হওয়ার ঘটনার কথা জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন অধিকার।মে মাসের ১৫ তারিখ থেকে ২৪শে মে পর্যন্ত সারাদেশের এই সংখ্যা দিচ্ছে তারা।

পুলিশের ভাষ্য, নিহতের ঘটনার সবটাই ঘটেছে বন্দুক-যুদ্ধে। এসব কথিত বন্দুক যুদ্ধ নিয়ে যেমন সমালোচনা হচ্ছে তেমনি মামলা পরিচালনা করার প্রক্রিয়া নিয়ে রয়েছে বিতর্ক।

মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের আদিলুর রহমান খান পুরো ব্যবস্থার মধ্যে গাফিলতি রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, পুরো সিস্টেমটাই তো গাফিলতির মধ্যে আছে। এখানে গাফিলতি একটা দুইটা ক্ষেত্রে না। তিনি বলেন, মাদক বিরোধী মামলা পরিচালনা করা তো দ্বিতীয় ধাপের ব্যাপার।

আদিলুর রহমান প্রশ্ন রাখেন, প্রথম ধাপে রয়েছে যারা এটার নিয়ন্ত্রণকারী, যারা এর আমদানিকারক কিংবা ব্যবসায়ী তাদের ধরা হচ্ছে না। যারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তারা কি নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে, নাকি তারা আদিষ্ট হয়ে যা করতে বলা হচ্ছে তাই করছে?

মামলা পরিচালনা এবং নিষ্পত্তি নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠেছে, তখন পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে মামলার ধরণের কারণেই মাদকের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব।

পুলিশের মুখপাত্র সহেলী ফেরদৌস বলেন, মামলা সঠিকভাবে পরিচালনা না হওয়ার ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোন গাফিলতি নেই বরং যেসব আইন রয়েছে সেটা নিয়ে আলোচনা করা দরকার।

বাংলাদেশের মাদক বিরোধী আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের ব্যবস্থা থাকলেও এর কিছু ত্রুটি এখনো রয়ে গেছে।

এ সম্পর্কে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো.জামাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, প্রচলিত আইনের তফসিলে বেশ কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত নেই। যাদের মাদকের গডফাদার বা মাস্টার-মাইন্ড বলা হয় তাদেরকে আইনে সোপর্দ করার কোন ব্যবস্থা বর্তমান আইনে নেই।

তিনি বলেন, আমরা আইন সংশোধন করে, যারা মাদকের ব্যবসা করে এবং মাদক তৈরি করে তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য আইনানুগ বিধান তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

বাংলা৭১নিউজ/এসএস

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com