সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ০৭:৩৩ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
যত প্রভাবশালীই হোক চাঁদাবাজদের ছাড় নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসবাদে অন্তর্বর্তী সরকারের নীতি ‘জিরো টলারেন্স’ তিন ক্যাটাগরিতে ১৭৫৭ জুলাইযোদ্ধার গেজেট প্রকাশ মাইলস্টোনের ঘটনায় আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিতের চেষ্টা চলছে নির্বাচন উপলক্ষে দেড় লাখ পুলিশকে ট্রেনিং দেওয়া হবে: প্রেস সচিব ঝুঁকি নিয়ে আহতদের সেবা দেওয়া চিকিৎসকরা ‘জুলাইয়ের নায়ক’: প্রধান উপদেষ্টা জুলাই সনদের খসড়া তৈরি, ১২ বিষয়ে ঐকমত্য বাংলাদেশকে আবার গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন তারেক রহমান : ফখরুল ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনিকে হত্যার হুমকি ইসরায়েলের বিদেশি মেডিকেল টিমের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

যেসব অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫
  • ৬০ বার পড়া হয়েছে

দক্ষিণ এশিয়া, বিশেষ করে বঙ্গোপসাগর ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকায় এই সময় ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি থাকে বেশি। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘূর্ণিঝড়ের ধরন, গতিপথ এবং তীব্রতা এখন অনেক বেশি অনিশ্চিত ও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। তীব্র দাপদাহ যখন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, তখন নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে একটি সম্ভাব্য শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়—‘শক্তি’। এই দাবদাহে যখন জনজীবন নাকাল, তখন বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ঘিরে জনমনে নতুন করে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে।

কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে সতর্ক করে জানান, ২৪ থেকে ২৮ মে’র মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। তিনি জানান, এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘শক্তি’ শ্রীলংকার প্রস্তাবিত।

পলাশ আরও জানান, ‌‘২৪ থেকে ২৬ মের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের উড়িষ্যা উপকূল থেকে শুরু করে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূল পর্যন্ত যে কোনো স্থানে আঘাত হানতে পারে। তবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি।’

বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) জানিয়েছে, ১৬ থেকে ১৮ মে’র মধ্যে সাগরে একটি সার্কুলেশন তৈরি হতে পারে, যা ধাপে ধাপে লঘুচাপ, নিম্নচাপ এবং গভীর নিম্নচাপে রূপ নিয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

এদিকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত ‘শক্তি’ নিয়ে কোনো চূড়ান্ত সতর্কতা জারি হয়নি। তবে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং সময়মতো প্রয়োজনীয় সতর্কতা ও নির্দেশনা দেওয়া হবে বলেও আশ্বস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।

বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের জন্য সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তাদের মতে, এখন থেকেই স্থানীয়দের মানসিক প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকা নিরাপদ স্থানে সরিয়ে ফেলতে হবে। পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখতে হবে, যেন জরুরি প্রয়োজনেই মানুষ সেখানে আশ্রয় নিতে পারে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2018-2025
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com