মাধুরী দীক্ষিতকে বিয়ের আগে ড. শ্রীরাম নেনে জানতেনই না যে তিনি ভারতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় চলচ্চিত্র তারকা। যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে বড় হওয়া এবং হলিউডের অনেকের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও, তিনি সিনেমা জগতের কাউকে জীবনসঙ্গী হিসেবে নেওয়ার ব্যাপারে একেবারেই আগ্রহী ছিলেন না।
প্রায় এক দশক আগে একটি গুগল ফায়ারসাইড চ্যাটে ড. নেনে বলেন, “আমার পরিবার মুম্বাইয়ের, আমি মারাঠি বলতাম, কিন্তু হিন্দি জানতাম না। আমরা বড় হয়েছি হিন্দি সিনেমা না দেখেই। আমি ইউসিএলএ-তে পড়তাম এবং সেখানে হলিউড ইন্ডাস্ট্রির অনেককে চিকিৎসা সেবা দিতাম। খোলাখুলিভাবে বলছি, সিনেমা জগতের কাউকে জীবনসঙ্গী হিসেবে চাইনি।”
তবে মাধুরীর ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর বদলে যায় তাঁর মনোভাব। নেনে বলেন, “তিনি অসাধারণ একজন মানুষ, খুবই সাধারণ মনের। আমাদের মানসিকতার সঙ্গে ভালোভাবে মিলে গিয়েছিলেন। আমি তাঁকে দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম। তখনই সিদ্ধান্ত নিই মাধুরীর সঙ্গে দেখা করব।
প্রথম সাক্ষাতেই মাধুরীর নম্রতায় মুগ্ধ হন ড. নেনে। তিনি বলেন, “আমি জানতাম না তিনি কে। পরে বুঝলাম, সবার মতো তিনিও একজন মানুষ। তিনি আরও বলেন, “আমি ওর যে দিকটা সবচেয়ে বেশি ভালোবেসেছিলাম, তা হলো—ও খুব সাধারণ, সৎ। যা এই ইন্ডাস্ট্রিতে সবসময় পাওয়া যায় না।”
এই কথায় মাধুরী হেসে বলেন, “ও জানতই না, কী ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ছে।”
১৯৯৯ সালে বিয়ের পর মাধুরী যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান, যেখানে কিছুদিন বসবাসের পর ২০০০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে তিনি আবার সিনেমায় ফিরে আসেন। ২০১১ সালে ড. নেনে মাধুরীকে নিয়ে ভারতে ফিরে আসেন এবং বর্তমানে তাঁরা ভারতেই বাস করছেন।
ভারতে ফিরে আসার পরের জীবন নিয়ে মাধুরী বলেন, “সবকিছু আবার একদম শুরু থেকে শুরু করতে হয়েছিল। কোথায় যাওয়া যাবে, কোথায় যাওয়া যাবে না—সব কিছুই এখন বেছে নিতে হয়। আমি চেষ্টা করি, তবে ডেনভারে যে স্বাধীনতা ছিল, এখানে তা একটু আলাদা। আমি কখনো টুপি পরে, কখনো বড় সানগ্লাস পরে বের হই—ভাবি, হয়তো এটা ভালো ছদ্মবেশ। কিন্তু এরপরেই কেউ এসে ফিসফিস করে বলে, ‘একটা অটোগ্রাফ দিবেন?’”
মাধুরী দীক্ষিতকে সর্বশেষ দেখা গেছে ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’ সিনেমায়, যেখানে প্রধান চরিত্রে ছিলেন কার্তিক আরিয়ান।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ