বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০২:৪৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ইসরায়েল হামাস সংঘাত রাফার হাসপাতালগুলোও বন্ধ হওয়ার পথে এখন অনায়াসে ৫-৭ লাখ টন চাল রপ্তানি করতে পারবো: খাদ্যমন্ত্রী চট্টগ্রামে বিধ্বস্ত হওয়া প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের এক পাইলট নিহত নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ তিনজনের যাবজ্জীবন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সাক্ষাৎ সরকারি খরচে এবার হজে যাচ্ছেন ৬৩ জন শুক্রবার টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী সব বিভাগে বৃষ্টির আভাস, দিনের তাপমাত্রা বাড়বে চট্টগ্রামে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত প্রথম ফ্লাইটে সৌদি গেলেন ৪১৩ জন হজযাত্রী ড. ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী আজ ড. ওয়াজেদ মিয়া অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন প্রকৌশলীদের পরিশ্রমের ফলেই ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন দৃশ্যমান রাফায় হামলা করলে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের হুঁশিয়ারি বাইডেনের হজযাত্রীদের আবেগ-অনুভূতিকে সম্মান দেখাতে হবে: ধর্মমন্ত্রী ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যায় মৃত্যু ১০০ ছাড়িয়ে গেছে ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সামনে গুলি, পুলিশ বলছে ‘মিসফায়ার’ বিদেশযাত্রায় দালালের দৌরাত্ম্য কমাতে দেওয়া হচ্ছে সাজা ও অর্থদণ্ড পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি অনেকাংশে সংযত করতে পেরেছি দেশে সাড়ে ১১ লাখ টন খাদ্য মজুত আছে : খাদ্যমন্ত্রী

‘জয়ের স্ট্যাটাসের ভিত্তিতে শফিক রেহমান গ্রেপ্তার ‘

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৬
  • ১২৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা : প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগকে কাল্পনিক দাবি করেছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, জয়কে অপহরণ বা দৈহিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগ মার্কিন আদালত আমলে নেয়নি। শুধু জয়ের ফেসবুকে দেওয়া একটা পোস্টের ওপর ভিত্তি করে সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

আজ শনিবার সকালে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল এই দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলা ও শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, আমেরিকান নাগরিক রিজভী আহমেদ সিজারের বিরুদ্ধে আমেরিকান আদালতে যে মামলা হয়েছিল, তাতে ২০১১ সালে তিনি সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়ার লক্ষ্যে একজন এফবিআই এজেন্টকে তাঁর এক বন্ধুর মাধ্যমে এক হাজার ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন এবং কিছু নথি পেয়েছিলেন। তাঁর অপরাধ ছিল সরকারি কর্মকর্তাকে ঘুষ দেওয়া এবং এফবিআই কর্মকর্তার অপরাধ ছিল ঘুষ নেওয়া ও বিনা অনুমতিতে সরকারি দলিল কোনো ব্যক্তিবিশেষকে হস্তান্তর করা।

এই মামলা চলাকালে মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আদালতে যে প্রতিবেদন পেশ করা হয়েছিল, তাতে ২০১৩ সালের ৯ মার্চ সজীব ওয়াজেদ জয় তাঁর ফেসবুকে যে বক্তব্য পোস্ট করেছিলেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে রিজভী আহমেদ সিজারের দুটি উদ্দেশ্য উল্লেখ করা হয়। একটি হলো জয়ের জীবনযাপন ও দুর্নীতি সম্পর্কে তথ্য পাওয়া এবং অন্যটি তাঁকে অপহরণ ও দৈহিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা।

বিচার চলাকালে জয়ও নিজেকে ‘ভিকটিম’ দাবি করে অভিযোগ করেন, সিজার তাঁকে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ২০১৫ সালের ৪ মার্চ দেওয়া রায়ে জয়কে অপহরণ ও দৈহিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণযোগ্য ও যুক্তিগ্রাহ্য তথ্য না পেয়ে আদালত অভিযুক্ত রিজভী আহমেদ সিজারকে এই অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন এবং জয়কে ‘ভিকটিম’ হিসেবে মানতে রাজি হননি। এ সময় ফখরুল ওই মামলার রায়ের কিছু অংশও তুলে ধরেন।

ফখরুল বলেন, মামলার রায়ে প্রমাণিত হয় যে রিজভী আহমেদ সিজার প্রকৃতপক্ষে জয় ও তাঁর মা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে বিব্রত ও দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে উপস্থাপনের প্রমাণ হিসেবে নির্ভরযোগ্য তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করেছিলেন এবং কিছুটা সফলও হয়েছিলেন।

বিএনপির মহাসচিব দাবি করেন, শুধু জয়ের ফেসবুকে দেওয়া একটা পোস্টের ওপর ভিত্তি করে ঢাকায় পুলিশ হেড কোয়ার্টারের নির্দেশে এফআইআর, গোপনে তদন্ত ও মামলা হয়েছে। মামলাকে ভিত্তিহীন দাবি করে ফখরুল বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিচার হওয়া মামলার অভিযোগপত্র, আদালতে জমা দেওয়া সরকারের লিখিত প্রতিবেদন, অভিযুক্ত বা সাক্ষীদের কোনো জবানবন্দি, মামলার রায়, এমনকি ঢাকার রমনা থানায় করা এফআইআর বা পল্টন থানায় করা মামলার কোথাও সাংবাদিক শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমান বা বিএনপির কোনো নেতার নাম উল্লেখ নেই।

অথচ শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করে হয়রানি করা হচ্ছে, মাহমুদুর রহমানকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। একই কাল্পনিক অভিযোগে দেশ-বিদেশে থাকা বিএনপির ঊর্ধ্বতন নেতাদের সম্পর্কে যথেচ্ছ অভিযোগ করে বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক, আমির মাহমুদ খসরু চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, সহ-দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি প্রমুখ।

বাংলা৭১নিউজ/এসএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com