কুড়িগ্রামে সাংবাদিক নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় কারাগারে থাকা সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুলতানা পারভীনকে ৬ মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে তার কারামুক্তিতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি ইউসুফ আবদুল্লাহ সুমনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সুলতানা পারভীনের জামিন চেয়ে করা আবেদন শুনানি শেষে এ সংক্রান্ত বিষয়ে আদেশের জন্য আজকের দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট।
আদালতে এদিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট ফয়জুল্লাহ ফয়েজ প্রমুখ। অন্যদিকে সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগানের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবি।
এরও আগে গত ২ সেপ্টেম্বর বিকেলে কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীন। বিচারক মোছাম্মৎ ইসমত আরা বেগম তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর সুলতানা পারভীন হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
২০২০ সালের ১৩ মার্চ রাতে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের বাসায় অভিযান চালান জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
প্রশাসনের একটি পুকুরের নামকরণ ও বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে তাকে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে নির্যাতন, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হত্যার হুমকি ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। পরে আরিফুলের বিরুদ্ধে আধা বোতল মদ ও দেড়শ গ্রাম গাঁজা রাখার অভিযোগে তাৎক্ষণিক এক বছরের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক ছাড়াও তৎকালীন আরডিসি নাজিম উদ্দিন, এনডিসি রাহাতুল ইসলাম ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে প্রশাসন। পরে আরিফুল ইসলামকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তি পাওয়ার পর সাংবাদিক আরিফুল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা করেন।
বাংলা৭১নিউজ/এআরকে