দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে জীবন বাঁচাতে পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হন আল আমিন (২৩)। পরদিন শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দুর্গম চর রাখালগাছি খেয়াঘাটের পাশ থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে গোয়ালন্দের দেবগ্রাম ইউনিয়নের রাখালগাছি সিএন্ডবি রাস্তার মাথায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আল আমিন মালয়েশিয়া প্রবাসী। তিনি পাবনার রামনারায়নপুর গ্রামের আবু বক্কর মণ্ডলের ছেলে।
নিহতের মামা লিটন গাজী জানান, আল আমিন প্রায় ৭ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় কর্মরত। চার মাস আগে তিনি ছুটিতে বাড়ি আসেন। গত ১৫-১৬ দিন আগে শাহ আলী নামে এক ব্যক্তি চা খাওয়ার জন্য তার কাছে তিন হাজার টাকা দাবি করেন।
সেই টাকা না দেওয়ায় তাকে মোবাইলে গালিগালাজ করা হয়। এরপর শুক্রবার দুপুরে আল আমিন, তার মামা লিটন, বোন আকলিমাসহ ঢালার চর গ্রামের খৈয়মের মেয়েকে দেখতে যান।
দুপুরে ভগ্নীপতি মেগা সরদারকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে গোয়ালন্দঘাটের রাখালগাছি বাজারে যান আল আমিন।
এসময় শাহ আলি, রবিউল, ঠান্ডু, জুয়েল ফকির, সেলিমসহ ৭-৮ জন রাখালগাছি বাজারের রাস্তার মাথায় আল আমিনের পথরোধ করে। এসময় আল আমিনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করলে তিনি জীবন বাঁচাতে পার্শ্ববর্তী পদ্মার শাখা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতরে ওঠার চেষ্টা করে ডুবে নিখোঁজ হন।
পরবর্তীতে পাবনার আমিনপুর ও রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট থানাকে জানানো হয়। এরপর নৌপুলিশ ও ডুবুরি নিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করে। একপর্যায়ে শনিবার দুপুরে তার মরদেহ রাখালগাছি খেয়াঘাটের পাশ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
গোয়ালন্দঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, শনিবার দুপুরে তার মরদেহ রাখালগাছি খেয়াঘাটের পাশে নদী থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী মর্গে প্রেরণ করা হয়। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ