বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ১০:৫২ অপরাহ্ন

কিশোরগঞ্জে হত্যা মামলায় এক পরিবারের নয়জনসহ ১৩ জনের যাবজ্জীবন

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫
  • ১১ বার পড়া হয়েছে

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে সৈয়দ আলী (৩০) নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার মামলায় একই পরিবারের নয়জনসহ ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ নূরুল আমিন বিপ্লব জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। এছাড়াও দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক।

আদালতে সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন এ রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, আব্দুল করিমের পাঁচ ছেলে আব্দুর রউফ ওরফে আলফাতুন (৬৯), আজিজুল হক এলাম (৫৪), মো. আলাউদ্দিন ওরফে আলাম মেম্বার (৫৯), কালাম মুন্সি (৬৪), আয়তুল হক মালাম (৫২)। দণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুর রউফ ওরফে আলফাতুনের দুই ছেলে আঙ্গুর মিয়া ওরফে আনোয়ার হোসেন (৪৫) ও হায়দার আলী (৩৭)। দণ্ডপ্রাপ্ত মো. আলাউদ্দিন ওরফে আলাম মেম্বারের দুই ছেলে রোয়েল (৩৯), রাসেল ওরফে ছোটন (৩৬) ও তার ভাই সোহেল (৪১)। আজিজুল হকের ছেলে রেজা মিয়া ওরফে আশিক আহম্মেদ হৃদয় (৩৪), তার ভাই রিয়াদ (৩২) ও কাইয়ূমের ছেলে জহিরুল ইসলাম কালা (৪৪)।

 

রায় ঘোষণা সময় আলফাতুল, আজিলুল হক বালা, রিয়াদ, আয়াতুল হক কামাল, জহিরুল ইসলাম, কামাল ও আশিক আহমেদ হৃদয় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্য ছয়জন পলাতক ছিলেন।

নিহত ও দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সবাই জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার দেওপুর (কজলাহাটি) গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, আসামিদের সঙ্গে নিহত মুদি দোকানের ব্যবসায়ী সৈয়দ আলীর জায়গা নিয়ে পূর্ব বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ নিয়ামতপুর বাসস্ট্যান্ড বাজারে গেলে কিরিচ, ছুড়া, লাঠিসোঁটা, রড ইত্যাদি নিয়ে আসামিদের হামলায় সৈয়দ আলীর গুরুতর আহত হন।

তাকে উদ্ধার করে প্রথমে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালের ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ মার্চ তার মৃত্যু হয়।

 

ব্যবসায়ী সৈয়দ আলী অসুস্থ অবস্থায় ২৫ মার্চ তার বড় বোন পারভীন সুলতানা বাদি হয়ে করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা করে। পরে সৈয়দ আলী মারা গেলে হত্যা চেষ্টা মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।

মামলার তদন্ত কাজ শেষ একই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর করিমগঞ্জ থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক শহর আলী ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

দীর্ঘ শুনানির পর বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার রায় ঘোষণা করে আদালত।

মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট অশোক সরকার।

বাংলা৭১নিউজ/একেএম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2018-2025
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com