সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার সচিবালয়ে নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে: প্রেস সচিব পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্রের খোঁজ দিলে মিলবে পুরস্কার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মাজারে হামলা চালালে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: ধর্ম উপদেষ্টা দ্রুত ‘ইলেকশন অ্যাপ’ চালুর নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা গাজায় অনাহারে মৃতের সংখ্যা ২১২ প্রধান উপদেষ্টার মালয়েশিয়া সফর ঘিরে প্রবাসীদের প্রত্যাশা ফ্যাসিবাদের নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব কর্মসংস্থান ব্যাংক, বাড়ছে ক্ষোভ উপদেষ্টাদের নিয়ে অভিযোগ থাকলে প্রমাণ জমা দিতে বললেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব আমানত ও জনস্বার্থ রক্ষা এবং স্বচ্ছ ব্যাংকিংয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এআইবিএল

১০ বছরের সাজা থেকে খালাস পেলেন জি কে শামীম

বাংলা৭১নিউজ ঢাকা:
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

অর্থপাচার মামলায় ঢাকার প্রভাবশালী ঠিকাদার, যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা এবং ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীমকে (জি কে শামীম) ১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মো. যাবিদ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

২০১৩ সালের ১৭ জুলাই মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা মামলায় জি কে শামীমকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে রায় দিয়েছিলেন আদালত। এছাড়া তার সাত দেহরক্ষী মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মোরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আনিছুল ইসলামকে দেওয়া হয় চার বছর করে কারাদণ্ড।

ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৪ টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরলে জি কে শামীমের উত্থান হয়। তিনি নিজেকে যুবলীগ নেতা দাবি করলেও আওয়ামী লীগের এই সহযোগী সংগঠনটি তা অস্বীকার করে।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলার সময় ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিকেতনের বাসা থেকে শামীমকে গ্রেফতার করা হয়। ওই ভবন থেকে নগদ এক কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা, ৯ হাজার মার্কিন ডলার, ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার ১০টি এফডিআর, ৩২টি ব্যাংক হিসাবের চেক বই, আটটি আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়ার কথা জানানো হয় অভিযান শেষে।

অভিযনের পরদিন ২১ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে জি কে শামীমের বিরুদ্ধে মামলা করেন র‌্যাব-১ এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান।

মামলায় বলা হয়, শামীম তার দেহরক্ষীদের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের টেন্ডারবাজি, মাদক ও জুয়ার ব্যবসাসহ স্থানীয় টার্মিনাল, গরুর হাট-বাজারে চাঁদাবাজি করে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থের মালিক হয়েছেন। বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশেও পাচার করেন তিনি।

তদন্ত শেষে পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ ২০২০ সালের ৪ অগাস্ট আদালতে জিকে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। সেটি গ্রহণ করে আদালত ১০ নভেম্বর বিচার শুরুর আদেশ দেন।

২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। অভিযোগপত্রে থাকা ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত। চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি আত্মপক্ষ শুনানিতে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ‘ন্যায়বিচার’প্রার্থনা করেন। দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মামলাটি রায়ের পর্যায়ে আসে।

শামীমের বিরুদ্ধে মোট মামলার সংখ্যা তিনটি। এর মধ্যে গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনে সাত দেহরক্ষী ও তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। মাদক মামলার নিষ্পত্তি এখনো হয়নি।

বাংলা৭১নিউজ/এবি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2018-2025
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com