শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ০৪:০৫ পূর্বাহ্ন

চাঁদপুরে শিক্ষার্থী হত্যা : দুইজনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন

চাঁদপুর প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে

চাঁদপুরের কচুয়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী মো. মিলন হোসেনকে (১২) শ্বাসরোধ এবং পানিতে ডুবিয়ে হত্যার দায়ে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২)-এর বিচারক সৈয়দ তাফাজ্জল হোসেন হিরু এই রায় দেন।

শিক্ষার্থী মিলন হোসেন কচুয়া কান্দিরপাড় গ্রামের প্রধানিয়া বাড়ির মো. তাজুল ইসলামের ছেলে। সে স্থানীয় চাপাতলী মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শামিম হোসেন (২৮) উপজেলার কান্দিরপাড় প্রধানিয়া বাড়ির মো. ইমাম হোসেনের ছেলে ও সোহাগ হোসেন (২৮) পার্শ্ববর্তী পাড়াগাঁও গ্রামের নুর উদ্দিনের ছেলে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রাব্বি (২৮) হোসেন কান্দিরপাড় গ্রামের ফরাজি বাড়ির আবুল বাসারের ছেলে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, হত্যার শিকার মিলনের পিতা তাজুল ইসলামের সঙ্গে আসামিদের স্বজনদের সম্পত্তিগত বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের কারণে ঘটনার দিন ২০১৫ সালের ২৯ জুন দুপুর ১টার দিকে মাদ্রাসা ছাত্র মিলন বাড়ি থেকে পাশের রহিমানগর বাজারে যায়।

বাজার থেকে বাড়িতে না ফেরায় পরদিন ৩০ জুন কচুয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার ভাই মো. রিপন হোসেন (২৫)। এরপর ২ জুলাই স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে মিলনের পরিবার জানতে পারে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আসামি শামিম, সোহাগ ও রাব্বি মিলনকে হত্যার উদ্দেশে কান্দিরপাড় জনৈক ইব্রাহিম খলিলের জমিতে নিয়ে পানিতে ডুবিয়ে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।

বাদী রিপন হোসেন বলেন, আসামিদের নামপরিচয় জানার পর প্রথমে স্থানীয় লোকজন শামীমকে আটক করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বাকি দুই আসামি সোহাগ ও রাব্বির নাম পাওয়া যায়। এরপর তাদেরকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ২ জুলাই ঘটনাস্থল থেকে মিলনের মরদেহ উদ্ধার ও আসামিদের থানা হেফাজতে নেন।

এ ঘটনায় ওইদিনই মিলনের বড় ভাই রিপন হোসেন বাদী হয়ে কচুয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

সরকার পক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, মামলাটি দীর্ঘ ১০ বছর চলাকালীন সময়ে ২২ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। আসামিদের অপরাধ স্বীকার ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে বিচারক তাদের উপস্থিতিতে এই রায় দেন।

রায়ে আসামি শামিম হোসেন ও সোহাগ হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১ লাখ টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। অপর আসামি রাব্বিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।

বাংলা৭১নিউজ/এসএকে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2018-2025
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com