দশ বছর আগে কুষ্টিয়ায় ভ্যানচালক আবু বক্কর সিদ্দিককে হত্যার দায়ে পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। ছয় আসামির আরেকজনকে সাজা কমিয়ে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন দেওয়া হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা দণ্ডিতরা হলেন- সাজ্জাদ, মাজেদ, শুকচাদ, রাশিদুল ইসলাম (পলাতক), ও মনছের আলী। সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দেওয়া হয়েছে, কালাই ওরফে জলিলকে।
আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের আবেদন) ও আপিলের শুনানি শেষে বুধবার এ রায় দেন বিচারপতি শেখ মো.জাকির হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও এ কে এম ফজলুল হক খান ফরিদ। পলাতক রাশিদুল ইসলামের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মো. হাফিজুর রহমান খান।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাক্ষ্য প্রমাণ বিবেচনায় কালাই ওরফে জলিলের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর অপর পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশে দিয়েছেন আদারত। ”
কুষ্টিয়া সদরের জিয়ারখি ইউনিয়নের জোতপাড়া গ্রামের ভ্যানচালক আবু বক্কর সিদ্দিক ২০১২ সালের ১০ জুন সন্ধ্যায় বাড়িতে ভ্যান রেখে চায়ের দোকানে বসেছিলেন। রাত ১০টার দিকে আসামিরা আবু বক্করকে ডেকে পাশের মাঠে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা ও পুরুষাঙ্গ কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করে। পরদিন সকালে জোতপাড়া কাঞ্চিখালি মাঠ থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
ওই দিনই আবু বক্করের বড় ভাই নুর হক মন্ডল সাত জনের নাম উল্লেখ করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামরায় সাজ্জাদ ও মাজেদকে প্রধান আসামি করা হয়। সাত আসামির মধ্যে কামরুল ইসলাম নামের একজন পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুক যুদ্ধে নিহত হন।
এ মামলার বিচার শেষে ২০১৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ছয় আসামিকেই মৃত্যুদণ্ড দেন। বিচারিক আদালতের রায়ের পর মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। আসামিরাও আপিল ও জেল আপিল করেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ