গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলা অব্যাহত রয়েছে। শনিবার (১৯ এপ্রিল) অবরুদ্ধ এই উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় নতুন করে আরও কমপক্ষে ৫২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
এদিকে নতুন করে আরেকটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েলের দেওয়া প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস। বন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে সংঘাতের অবসানের জন্য একটি নতুন চুক্তির প্রস্তাবের পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
অপরদিকে হামাস জানিয়েছে, তাদের যোদ্ধারা ইসরায়েলি-আমেরিকান বন্দি এডান আলেকজান্ডারকে ধরে রাখা প্রহরীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন। তবে এডানের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা জানা যায়নি।
গাজাযুদ্ধ বন্ধ ও জিম্মি বিনিময়ের ক্ষেত্রে ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ চুক্তির আলোচনা চায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েলের দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখান করে গাজায় হামাসের প্রধান খলিল আল-হায়া এ কথা বলেছে। টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে খলিল আল-হায়া বলেছেন, হামাস আর অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তিতে সম্মত হবে না।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে হামাস ও ইসরায়েল যে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছিল গত মাসে তা ভেঙে যায়। মিশরের মধ্যস্থতাকারীরা এখনও জানুয়ারিতে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি পুনরুজ্জীবনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তবে তা সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জেমস হিউইট বলেছেন, হামাসের মন্তব্য প্রমাণ করে যে তারা শান্তিতে নয় বরং চিরস্থায়ী সহিংসতায় আগ্রহী। ট্রাম্প প্রশাসনের শর্ত বদলায়নি: জিম্মিদের মুক্তি দাও, নতুবা নরকের মুখোমুখি হও।
অন্যদিকে যুদ্ধবিরতি পুনরুজ্জীবিত করা ও ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির লক্ষ্যে সোমবার কায়রোতে হওয়া সর্বশেষ রাউন্ডের আলোচনায় কোনো ধরনের সমঝোতাই হয়নি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।
সামরিক অভিযানের নামে গাজায় রীতিমতো ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে দখলদার বাহিনী। গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫১ হাজার ৬৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ১৬ হাজার ৫০৫ জন।
তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০। কারণ ধ্বংসস্তূপের নিচে যারা চাপা পড়েছে তাদেরও নিহতের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় প্রায় ১৮ মাস ধরে সংঘাত চলছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ