রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১০:১১ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
১২ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হবে কোরবানির চামড়ার সর্বনিম্ন দাম ১১৫০ টাকা, ঢাকায় ১৩৫০ টাকা দ্বন্দ্ব-সংঘাত ছেড়ে ঐকমত্যের পথ ধরুন, আরেকটা সরকার গঠন প্রায় অসম্ভব ধ্বংস প্রায় প্রকৃতিকে ফিরিয়ে আনতে হবে: রিজওয়ানা হাসান দুই ছাত্র উপদেষ্টা গণঅভ্যুত্থানের প্রতিনিধি, এনসিপির নয় : হাসনাত নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণ ব্যতীত সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতির সুযোগ নেই চট্টগ্রাম বন্দর কাউকে দিচ্ছি না, সংস্কার করতে চাচ্ছি: প্রেস সচিব সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ৮ দলের বৈঠক গাজায় নিহত আরও ৭৯, প্রাণহানি ছাড়াল ৫৩ হাজার ৯০০ দায়িত্ব পালন অসম্ভব করে তুললে জনগণকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার

দুর্গম পাবর্ত্য এলাকায় আরাকান আর্মির যাওয়া-আসা নিয়ে যা জানা গেল

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫
  • ১৩ বার পড়া হয়েছে

সম্প্রতি বান্দরবান-মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশের ভেতরে আরাকান আর্মির সদস্যদের অনুপ্রবেশের অভিযোগ নিয়ে আলোচনা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। থানচি উপজেলার রেমাক্রিতে সাঙ্গু নদীর চরে যেখানে অনুষ্ঠান আয়োজন এবং আরাকান আর্মির সদস্যরা উপস্থিত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে, সেটি মিয়ানমার সীমান্ত থেকে অন্তত দশ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। খবর বিবিসি বাংলার।

গত এপ্রিল মাসের ১৬-১৭ তারিখ বান্দরবানের থানচি উপজেলার রেমাক্রিতে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান আয়োজনে আরাকান আর্মির উপস্থিতির ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। ওই ঘটনার পর মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী কীভাবে বাংলাদেশে উপস্থিত হলো সে প্রশ্ন উঠেছে।

সরকারের তরফ থেকে বিষয়টি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, এদেশে আরাকান আর্মির সদস্যরা আত্মীয়তার বন্ধনেও জড়িত। 

তবে ওই ঘটনার পর বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকা ও রেমাক্রিতে আরাকান আর্মি সদস্যদের উপস্থিতি নেই বলে দাবি করা হচ্ছে।

মিয়ানমারের রাখাইন এলাকা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর অনেকেই বাংলাদেশে ছেড়ে চলে গেছে। এপ্রিল মাসে অনুপ্রবেশের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর আরাকান আর্মির যেসব সদস্য বাংলাদেশে অবস্থান করতেন তাদেরকেও আর দেখা যাচ্ছে না এমনটাই জানিয়েছেন রেমাক্রি ও তিন্দু এলাকার মারমা অধিবাসীরা।

সরেজমিনে থানচি

সরেজমিনে ঘুরে বিবিসির সাংবাদিক এ বিষয়ে প্রতিবেদনের জন্য গেলে থানচি পর্যন্ত যাবার সুযোগ দেওয়া হয়েছে তবে থানচির পর রেমাক্রি যাবার অনুমতি দেওয়া হয়নি। সাধারণ পর্যটকরা থানচি পর্যন্তও যেতে পারছেন না। এ ব্যাপারে নিরাপত্তা বাহিনী বেশ কড়াকড়ি আরোপ করেছে বলেই ধারণা পাওয়া গেছে।

বান্দরবান ও থানচিতে পাহাড়ি ও বাঙ্গালি অধিবাসীদের সঙ্গে কথা বলে বাংলাদেশে আরাকান আর্মির অনুপ্রবেশ ও উপস্থিতির দীর্ঘদিন আগে থেকে রয়েছে বলেই ধারণা পাওয়া গেছে।

রেমাক্রি ও তিন্দু এলাকার নিয়মিত যাতায়াত আছে এমন পাহাড়ি এবং মারমা সম্প্রদায়ের লোকজন নিশ্চিত করেছেন, রেমাক্রিতে অনুষ্ঠিত ওই অনুষ্ঠানে আরাকান আর্মির সদস্যরা প্রকাশ্যে ছিল। এছাড়া পাহাড়িরা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই ওইসব এলাকায় এই গোষ্ঠীর সরব উপস্থিতি তারা দেখেছেন।

স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী আরাকান আর্মির সদস্যদের বাংলাদেশের ভেতরে নিয়মতি আসা যাওয়া তাদের নজরে এসেছে। বাংলাদেশের রেমাক্রি, তিন্দু ও মদক এলাকায় একাধিক ক্যাম্প এমনকি কেউ কেউ বসবাস করতো বলেও ধারণা পাওয়া গেছে।

থানচি এলাকার পাহাড়ি নেতা খামলাই ম্রো এপ্রিল মাসে রেমাক্রিতে আলোচিত ‘আরাকান ওয়াটার ভেস্টিবল’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তৃতা করেছেন। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, এরকম অনুষ্ঠান আয়োজনে আরাকান আর্মির উপস্থিতি অতীতেও ছিল।

খামলাই ম্রো বলছেন, ওই ধরনের অনুষ্ঠান এটাই প্রথম না। এর আগে এর চাইতে অনেক বড় অনুষ্ঠান করছে। বাট তাদেরও কিছু পদ্ধতিগত ভুল ছিল। তারা তাদের যে স্যাটেলাইট চ্যানেল আছে, সেটার সঙ্গে লিংক করে অনুষ্ঠানটা লাইভ করে ফেলছিল, না হলে সবার এটা দেখার কথা না।

খামলাই ম্রো’র কথায়, আরাকান আর্মি বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টি দীর্ঘদিনের পুরোনো। আগে থেকেই ছিল। ছিল বলতে আসা যাওয়ার মধ্যে ছিল। কন্টিনিউয়াস থাকতো তা না। আসে যায়। সপ্তাহ দুই মাস, এভাবেই ছিল আরকি। এটা আমাদের স্টেটের যে স্ট্র্যাটেজি বা রাষ্ট্রের যে কৌশল আমি যেটা মনে করি কৌশলগত অংশ হিসেবে এরাতো ছিলই। বাট আমি যেটা বলতে পারি বুকে হাত দিয়ে এই মুহূর্তে নাই।

অনুপ্রবেশ নিয়ে উদ্বেগ কোথায়

থানচি উপজেলার কুলু পাড়া, বড় মদক, পদ্মঝিরি, বকু পাড়া, সাফা পাড়া, মধুচি, শাপছড়া, মদকের মতো সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোয় আরাকান আর্মির অবস্থানের তথ্য রয়েছে প্রশাসনের কাছেও। ওইসব এলাকায় আরাকান আর্মির কমান্ডার হিসেবে মেজর সাদোয়াং, কহিন, লুকা, লাব্রা, জোব্বা নামের ব্যক্তিরা নজরদারিতে রয়েছে বলে জানা যায়।

বান্দরবানের একজন মানবাধিকার কর্মী ডনাইপ্রু নেলী বিবিসি বাংলাকে বলেন, অতীতে রেমাক্রি বেড়াতে গিয়ে তিনিও এরকম উপস্থিতি দেখেছেন। তিনি বলছেন, আমি রেমাক্রিতে বেড়াইতে গেছি। তিন চার বছর আগে। আমি কিছু কিছু জিনিস দেখে আমি নিজে অবাক হয়েছি। তখন ওখানকার মানুষ বলেছে এটা খুব স্বাভাবিক। প্রশাসন জানে। প্রশাসন না জানলে কি ওখানে অনুষ্ঠান হয়। ওখানে কি পানি খেলা হয়। পানি খেলায় তো স্থানীয় নেতারাও গেছে।

নেলী বলছেন, আরাকান আর্মির সদস্যরা এখানে এসে বিয়ে করেছে। বিয়ে করে বসবাস করছে এসব নিথপত্র আছে। কেন আসলো কী কারণে আসলো অবশ্যই উদ্বেগ আছে। কারণ উনারা আমাদের মতো কথা বলে, আমাদের মত চেহারা ধর্ম এক কিন্তু দে আর নট বাংলাদেশি। তারা কিন্তু আরাকানি তারা মায়ানমারের লোক, মায়ানমারের লোক মায়ানমারকে ভালবাসবে।

স্থানীয় বাঙালিদের অভিযোগ, আরাকান আর্মির একটি অংশ এই অঞ্চলকে ‘গ্রেটার আরাকান’-এর অংশ হিসেবে দাবি করছে— যা তাদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে। পার্বত্য এলাকায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর তৎপরতাও বাড়ছে উল্লেখ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে তারা শঙ্কিত।

বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে এবারই তো আরাকান আর্মি এরকম অনুষ্ঠান করলো। প্রথম করলো। নিয়মিত এর আগে তারা হয়তো সীমান্ত এলাকায় আসা যাওয়া করেছে যেটা লোকচক্ষুর অন্তরালে, কারো চোখে পড়েছে কারো পড়ে নাই। আমরা শঙ্কিত এই কারণে এখন আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামে যে সমস্ত সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো দেশে বিদেশে গিয়ে তারা শক্তি সঞ্চয় করে আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখছে তারা আরো বেশি উৎসাহিত হবে।

তিনি বলছেন, আরাকান আর্মি যদি আরাকান স্টেটকে স্বাধীন একটা রাষ্ট্র ঘোষণা দিয়ে যদি তারা নেতৃত্ব কতৃত্ব সেখানে অবস্থান সুদৃঢ় করতে পারে। তাহলে আমাদের পার্বত্য অঞ্চলের যে সমস্ত সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আছে তারাতো ওদের কাছে শেল্টার পাবে। তাদের সঙ্গে তো একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিং আছেই।

বাংলাদেশের ভেতরে আরাকান আর্মি কীভাবে অবাধে আশ্রয় পেয়েছে সে প্রশ্ন রয়েছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলেন, একটি সার্বভৌম দেশের অভ্যন্তরে ভিন্ন দেশের সশস্ত্র গোষ্ঠীর উপস্থিতি কাম্য নয়।

বিশ্লেষকরা কী বলেন

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, এই দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় তিন দেশের মিলনস্থলে রয়েছে এক ট্রায়াঙ্গেল, যেটি দীর্ঘদিন ধরেই নানা সশস্ত্র গোষ্ঠীর জন্য এক ধরনের আশ্রয়স্থল। সীমান্তের এই অংশকে ‘নোম্যান্স ল্যান্ড’ বলে বিবেচনা করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম।

তার মতে, বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও ভারতের সীমান্তঘেঁষা এই এলাকা বিভিন্ন গোষ্ঠীর নিরাপদ আশ্রয়। বান্দরাবানের উপরে মিয়ানমারের চীন স্টেট এবং ভারতের মিজোরামে একটা সংযোগস্থল আছে।

বান্দরাবানের উপরে পূর্ব প্রান্তে মিজোরাম থেকে এসেছে এবং চীন স্টেটের এই ট্রায়াঙ্গেলটা অনেক্ষেত্রে নোম্যান্স ল্যান্ড হিসেবে বিবেচিত হয়। অনেকে এটাকে অন্যান্য ট্রায়াঙ্গেল বলে থাকে। যেটাকে আমি বলি ডেভিল টেরেইন।

‘আমরাও এদিক থেকে খুব একটা জোর দেই না, মিজোরামও খুব বেশি জোর দেয় না। ভারত আবার চীন স্টেটও এসেও খুব একটা ডোমিনেট করার প্রয়াস পায় না। এই সুযোগটা বিভিন্ন সময় এই যে নন স্টেট অ্যাক্টর, বা বিদ্রোহী গোষ্ঠী বা ইনসার্জেন্ট গ্রুপ যাদের বলেন, তারা এইখানে এসে যখন প্রেসার অনুভব করে অন্যপ্রান্ত থেকে যখন তারা চাপে পড়ে তখন আশ্রয় নেয়’।

আবার এমনও হয় বিভিন্ন গোষ্ঠী- যেমন এদিকে বান্দরবানের একটি গোষ্ঠী, ওদিকে মিজোরামের একটি গোষ্ঠী, চীনের একটি গোষ্ঠী এসে বৈঠকও করে। পারস্পরিক বোঝাপড়া করে বলেও ধারণা পেয়েছেন এমদাদুল ইসলাম।

তিনি বলছেন, এটাও আমি শুনেছি। আমি মিয়ানমারে দীর্ঘ সময় ছিলাম তখনও জানতাম এখান থেকে আরাকান আর্মি যখন মিয়ানমার সেনাবাহিনীর চাপে যখন পড়ে বা মিজোরামে যখন অপারেশন চলে ভারতীয়দের, ওদিকে চীন স্টেটে আবার যখন মিয়ানমার আর্মি প্রেসার ক্রিয়েট করে বা বান্দরাবানে যখন আমাদের সেনাবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে, যেমন সীমান্তে পপি টপি এগুলো যখন ধ্বংস করেছে তখন কিন্তু প্রচণ্ড প্রেসার বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ক্রিয়েট করেছিল। তো সেগুলো তখন গিয়ে এই নোম্যান্স ট্রায়াঙ্গল আছে সেখানে গিয়ে আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহার করে। তো সেখানে এই সুযোগটা হয়তো আরাকান আর্মি ব্যবহার করে থাকতে পারে।

আরাকান আর্মির বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার ইতিহাস কত দিনের হতে পারে এই প্রশ্নে এমদাদুল ইসলাম বলেন, এক দশকেরও বেশি সময় হবে।

ট্রায়াঙ্গেলে আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠী জোট করেছিল বলেও তথ্য আছে বলে জানান নিরাপত্তা বিশ্লেষক এমদাদুল ইসলাম।

তিনি বলছেন, যে মিজো ন্যাশনাল আর্মি। আমাদের এখান থেকে যারা কুকি ব্যোমরা আছে তাদের উৎসাহিত করেছে। তারপর চিন স্টেটের চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট সেখানে এসেছে, আরাকান আর্মি সেখানে গিয়েছে।

এমদাদুল ইসলাম মনে করেন, আরাকান আর্মি বাংলাদেশ থেকে চলে যাবে কারণ আরাকান তাদের জন্য এখন ওপেন হয়ে গেছে। তবে একটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশে অন্য দেশের কোনো স্বশস্ত্র গোষ্ঠী এসে চলাফেরা করবে এটা কোনো দিনও কারো কাম্য হতে পারে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এমদাদুল ইসলাম বলছেন, আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী আছে তাদের আরো বেশি সচেতন বা সতর্ক থাকা উচিৎ ছিল। এ ধরনের খবর পেলেও সেখানে তারা কী ধরনের নিবারণ বা প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বা সেখানে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সেটা কিন্তু আমরা জানি না। অতীতে যা হয়েছে ভবিষ্যতের জন্য মনে রাখার বিষয় হচ্ছে একটা সার্বভৌম দেশে ননস্টেট অ্যক্টরদের ফ্রিহ্যান্ড চলাফেরা করতে দেওয়াটা একটা অন্যায় এবং এটা অনুচিত।

আরাকান আর্মি এবং মিয়ানমার ও বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন গুজব এবং উৎসাহ তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে বান্দরবানের থানচি ও রেমাক্রির বিভিন্ন স্পট পর্যটকদের যাতায়াত নিষিদ্ধ রয়েছে।

অবসরপ্রাপ্ত মেজর মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম বলেন, মানুষ অনুসন্ধিৎসু। যে রিউমার বাজারে চালু আছে সেটা কি ওখানে ইমপ্লিমেন্ট হচ্ছে নাকি। সেরকম কোনো কাজ হচ্ছে নাকি না হলে আমাকে কেন ওখানে যেতে দিচ্ছে না। এটা কিন্তু সন্দেহটা ঘনিভূত হচ্ছে। সন্দেহ দূর করা দায়িত্ব হচ্ছে কর্তৃপক্ষের। কর্তৃপক্ষের এটা অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে সাধারণ মানুষকে।

দুর্গম পাবর্ত্য এলাকার সীমান্তের ভেতরে আরাকান আর্মির উপস্থিতি নিয়ে বিজিবির কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে এপ্রিল মাসে রেমাক্রিতে অনুপ্রবেশের বিষয়টি নিয়ে চট্টগ্রামে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, আরাকান আর্মি দীর্ঘদিন সেখানে যুদ্ধ করছে। এই পাড়ে অনেকে বিয়েও করেছে। ওই সীমান্তকে একটি ডিফিকাল্ট বর্ডার হিসেবেও আখ্যায়িত করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

খবর বিবিসি বাংলার।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2018-2025
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com