ভারত এবং বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তে ১০টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিএসএফের ১৪৩ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে সোনা পাচারের চেষ্টা করার সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা ১০টি সোনার বারসহ দুই চোরাকারবারিকে হাতেনাতে আটক করেছে।
জব্দ করা সোনার মোট ওজন ১ দশমিক ১৬৭ কেজি, যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ১১ লাখ রুপি। বিএসএফের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ১৬ মে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা গোয়েন্দা মারফত সোনা পাচারের খবর জানতে পারেন। পরে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাকিমপুর সীমান্ত ফাঁড়ির জওয়ানরা একটি বিশেষ এবং সুপরিকল্পিত অভিযান শুরু করে।
হাকিমপুর চেকপোস্টের বিএসএফ জওয়ানরা সতর্ক অবস্থান নেয় এবং নজরদারি জোরদার করে। এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা হাকিমপুর উত্তরপাড়া গ্রামের কাছে দুজন সন্দেহভাজন ব্যক্তির গতিবিধি লক্ষ্য করেন। সঙ্গে সঙ্গে তাদের দুজনকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারপর তাদের পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি চালানো হয়।
তল্লাশির সময় তাদের কাছ থেকে ১০টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। ওই দুই ব্যক্তিকে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে আটক করা হয় এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাকিমপুর সীমান্ত ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, তারা চোরাকারবারের সঙ্গে যুক্ত বলে স্বীকার করেছেন। তারা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাকিমপুর উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তারা স্বীকার করেছেন যে, সোনার বারগুলো একই গ্রামের অন্য একজন বাসিন্দার কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল। এই কাজের জন্য তারা ২৮০০ রুপি পেতেন। কিন্তু বিএসএফ তাদের এই পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেয় এবং ঘটনাস্থলে তাদের আটক করা হয়।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ