আইপিএলের ১৮তম আসরের রাউন্ড রবিন লিগ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। কোনো কোনো দল এরই মধে ১১টি ম্যাচ খেলে ফেলেছে। অধিকাংশই খেলেছে ১০টি ম্যাচ। এরমধ্যে কয়েকটি দলের প্লে-অফে খেলার আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে এবারের আইপিএল থেকে।
এবারের আইপিএল থেকে সবার আগে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে চেন্নাই সুপার কিংসের। ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের নেতৃত্বে আইপিএল শুরু করলেও মাঝপথে এসে নেতৃত্ব এসে বর্তেছে মহেন্দ্র সিং ধোনির ঘাড়ে।
কিন্তু দলটির এমনই অবস্থা যে, যেখান থেকে ধোনিও পারেননি তুলে আনতে। পুরো আইপিএলে এখনও পর্যন্ত ১০টি ম্যাচ খেলেছে চেন্নাই। যার মধ্যে মাত্র দুটি ম্যাচ জিততে পেরেছে তারা। হেরেছে ৮টিতে। ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট। বাকি থাকা ৪ ম্যাচের সবগুলো জিতলেও মোট পয়েন্ট হবে ১২। এরই মধ্যে চারটি দল ১৩ বা তার বেশি পয়েন্ট অর্জন করেছে। ফলে চেন্নাইয়ের সম্ভাবনা শেষ।
বৃহস্পতিবার রাতে দ্বিতীয় দল হিসেবে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে রাজস্থান রয়্যালসেরও। ১১ ম্যাচের মধ্যে তারা জয় পেয়েছে ৩টিতে। অর্জন ৬ পয়েন্ট। বাকি তিন ম্যাচ জিতলেও পয়েন্ট হবে ১২; কিন্তু এই ১২ পয়েন্ট নিয়েও কোনো লাভ হবে না রাজস্থানের।
ছিটকে যাওয়া প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে গত আসরের ফাইনালিস্ট সানরাইজার্স হায়দরাবাদেরও। শুক্রবার রাতে তারা গুজরাট টাইটান্সের কাছে হেরেছে ৩৮ রানের ব্যবধানে। এই পরাজয়ের পর হায়দরাবাদের পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ৬। বাকি চার ম্যাচে জয় পেলে পয়েন্ট হবে ১৪।
এই হিসেব ধরলে হয়তো এখনও কিছুটা সম্ভাবনা রয়েছে তাদের প্লে-অফে ওঠা; কিন্তু যে পারফরম্যান্স দেখাচ্ছে প্যাট কামিন্সের দল, তাতে একটি ম্যাচ যদি তারা হেরে যায়, তাহলে কোনোভাবেই আর প্লে-অফে ওঠার সম্ভাবনা থাকবে না।
সুতরা চেন্নাই সুপার কিংস, রাজস্থান রয়্যালস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিদায় নিশ্চিত। বাকি থাকে আর সাতটি দল। এদের মধ্যে প্লে-অফে উঠবে চার দল। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনো দলেরই প্লে-অফ নিশ্চিত হয়নি। সর্বোচ্চ ১৪ পয়েন্ট করে নিয়ে শীর্ষে রয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, গুজরাট টাইটান্স ও রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তিন দলই খেলেছে ১০টি করে ম্যাচ। রান রেটের কারণে যথাক্রমে তারা রয়েছে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে।
প্রীতি জিনতার দল পাঞ্জাব কিংসও খেলেছে ১০ ম্যাচ। তবে একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় একটি পয়েন্ট কম। ১৩ পয়েন্ট নিয়ে তারা রয়েছে চতুর্থ স্থানে। বাকি চার ম্যাচের মধ্যে তিনটি করে ম্যাচ জিতলেও উপরোক্ত চারটি দলের প্লে-অফে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে যাবে।
তবে, প্লে-অফে যাওয়ার দৌড়ে বেশ ভালোভাবেই রয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস, লখনৌ সুপার জায়ান্টস ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের। গত আসরের চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর) যদিও এই তিন দলের মধ্যে পিছিয়ে। ১০ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট অর্জন করেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
বাকি চার ম্যাচের ৩টিতেও যদি জিততে পারে তাহলে তাদের পয়েন্ট হবে ১৫। তাতেও যদি ভাগ্যের সিকে ছিঁড়ে কেকেআরের! আর যদি চারটিই জিতে যায় তাহলে সেরা চারে থাকা তাদের জন্য সহজ হয়ে যাবে। অর্থ্যাৎ বাকি চার ম্যাচই তাদের জন্য নকআউট। ১০ পয়েন্ট নিয়ে ৬ নম্বর স্থানে থাকা লখনৌ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক রিশাভ পান্ত নিষ্প্রভ। তবুও দলটি আশাবাদী বাকি চার ম্যাচ জিতে প্লে-অফে ওঠার।
কেকেআর আর লখনৌয়ের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে দিল্লি ক্যাপিটালস। ১০ ম্যাচে পয়েন্ট তাদের ১২। বাকি ৪ ম্যাচে যদি ভালো কিছু দেখাতে পারে, তাহলে উপরে থাকা কোনো এক দলকে পেছনে ফেলে হয়তো সেরা চারে থেকেও যেতে পারে দিল্লি।
আইপিএলের পয়েন্ট টেবিল
দল | ম্যাচ | জয় | হার | ফল হয়নি | পয়েন্ট | রান রেট |
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স | ১১ | ৭ | ৪ | ০ | ১৪ | ১.২৭৪ |
গুজরাট টাইটান্স | ১০ | ৭ | ৩ | ০ | ১৪ | ০.৮৬৭ |
রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু | ১০ | ৭ | ৩ | ০ | ১৪ | ০.৫২১ |
পাঞ্জাব কিংস | ১০ | ৬ | ৩ | ১ | ১৩ | ০.১৯৯ |
দিল্লি ক্যাপিটালস | ১০ | ৬ | ৪ | ০ | ১২ | ০.৩৬২ |
লখনৌ সুপার জায়ান্টস | ১০ | ৫ | ৫ | ০ | ১০ | -০.৩২৫ |
কলকাতা নাইট রাইডার্স | ১০ | ৪ | ৫ | ১ | ৯ | ০.২৭১ |
রাজস্থান রয়্যালস | ১১ | ৩ | ৮ | ০ | ৬ | -০.৭৮০ |
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ | ১০ | ৩ | ৭ | ০ | ৬ | -১.১৯২ |
চেন্নাই সুপার কিংস | ১০ | ২ | ৮ | ০ | ৪ | -১.২১১
|
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ