মাদারীপুরের কালকিনিতে চার বছরের এক শিশুর সামনে তার মাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মূল অপরাধীরা এখনও গ্রেফতার হয়নি। এছাড়া হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়নি। তবে পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত সঠিক পথে চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালকিনির এনায়েতনগর ইউনিয়নের মাঝেরকান্দি এলাকায় সৌদিআরব প্রবাসী সোহাগ হাওলাদারের সঙ্গে তার চাচা শাহাদাৎ হাওলাদারের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ দীর্ঘদিন ধরে চলছিল। এ বিষয়ে আদালতেও মামলা চলমান। অভিযোগ অনুযায়ী, গত ৩ সেপ্টেম্বর বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঘরে ঢুকে দুর্বৃত্তরা হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
ঘটনার সময় প্রবাসীর স্ত্রী পাখি বেগম এবং সন্তান আযান ঘুমাচ্ছিল। দুর্বৃত্তরা চার বছরের শিশুর সামনে পাখির ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। শিশুটি একা রয়ে যায়।
নিহতের মা শারমিন বেগম কালকিনি থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। তবে পুলিশ মামলায় অজ্ঞাতদের আসামি করেছে। তিনি অভিযোগ করেন, তার লিখিত এজাহার পাল্টে দেওয়া হয়েছে এবং মূল অপরাধীরা এখনও বিচারের বাইরে রয়েছে।
নিহতের স্বামী সোহাগ হাওলাদার বলেন, “আমার শাশুরির কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে পুলিশ অজ্ঞাতদের আসামি করেছে। এ কারণে ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আমরা চাই প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হোক।”
অভিযুক্ত শাহাদাৎ হাওলাদারের স্ত্রী পলি আক্তার দাবি করেছেন, তাদের কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই এবং ঘটনার প্রকৃত দোষীদের বিচার তারাও চান।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “প্রবাসীর স্ত্রী হত্যাকাণ্ড একটি ক্লুলেস ঘটনা। পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা দলও তদন্ত করছে। শিগগিরই মূল অপরাধীরা ধরা পড়বে। ইতোমধ্যেই জহির নামের একজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। নিরীহ কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না।”
বাংলা৭১নিউজ/এসএকে