স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৫০০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন ১০ জন।
রোববার (৩১ আগস্ট) রাতে চবি মেডিকেল সেন্টারের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. ফারহানা ইয়াসমিন এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গতকাল থেকে প্রায় ১ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৫০০ শিক্ষার্থীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর গুরুতর আহত হয়েছেন ১০ জন।
আহতদের বিষয়ে ডা. ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, অধিকাংশরই শরীর ছিলে গেছে, কেটে গেছে এবং শরীরে গভীর ক্ষতও ছিল। স্ক্রিনের নিচে ব্লাড জমে কালো হয়ে গেছে- এ ধরনের শিক্ষার্থীও ছিল। মোট কথা ছোট-বড় সব ধরনের ক্ষতই ছিল। শিক্ষার্থীদের কপাল, মাথা, শরীরে ক্ষত ছিল।
গুরুতর আহতদের বিষয়ে তিনি বলেন, একটি ছেলেকে দেখলাম এক হাতে গভীর ক্ষত। ফিনকি দিয়ে রক্ষ বের হচ্ছিল। তার পেটে ও মাথায়ও ক্ষত ছিল। আমি দুপুর ২টার পর আর এমন গুরুতর রোগী দেখিনি। তবে শিফটের আগে কিছু রোগী এমন ছিল।
চবি মেডিকেল সেন্টারের আরেক সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. মোস্তফা কামাল জানান, ৮টা বাস ও ৯টা অ্যাম্বুলেন্সে করে প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পার্কভিউ হাসপাতাল, ন্যাশনাল হাসপাতাল ও আগ্রাবাদের মা ও শিশু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসের ২ নম্বর গেটে স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীদের মাঝে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে বিকেল ৪টার দিকে ক্যাম্পাসে যৌথবাহিনী মোতায়েন করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এর আগে গতকাল শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে দারোয়ান কর্তৃক মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএকে