মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ১০:০৯ অপরাহ্ন

মুরাদনগরে গ্রেফতার আতঙ্কে পুরুষশূন্য গ্রাম, নারীদের বিক্ষোভ

কুমিল্লা প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫
  • ৯ বার পড়া হয়েছে

সম্প্রতি কুমিল্লার মুরাদনগরের কড়ইবাড়ি গ্রামে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলাও হয়। এরপর গ্রেফতার আতঙ্কে গ্রামটি ‘পুরুষ শূন্য’ হয়ে পড়ে।

এ নিয়ে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) কড়ইবাড়ি স্টেশন এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন এলাকার নারীরা।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ৪ জুলাই ট্রিপল মার্ডারের ঘটনাটি নিয়ে একটি পক্ষ ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। প্রকৃত অপরাধী ছাড়াও নিরীহ গ্রামবাসীকে হয়রানি করা হচ্ছে। এতে করে আতঙ্কে গত এক মাস ধরে পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে কড়ইবাড়ি গ্রাম।

কড়ইবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা সালমা আক্তার, জমিলা বেগম ও জাহেদা খাতুন বলেন, একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি বিনা অপরাধে বাড়ি ছাড়া। এতে পরিবারের সদস্যরা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। আমরা চাই যারা প্রকৃত অপরাধী তাদের বিচার হোক, কিন্তু গ্রামের সবাইকে যেন হয়রানি না করা হয়।

তারা আরও বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের পরিবার বিভিন্ন সময়ে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে, অন্যদিকে গ্রাম পুরুষ শূন্য থাকায় চুরি ডাকাতিরও আশঙ্কা রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার কড়ইবাড়ি গ্রামে জনরোষের শিকার হয়ে গণপিটুনিতে এক ছেলে ও এক মেয়েসহ নিহত হন রুবি আক্তার। নিহতের পর রুবি আক্তারের বড় মেয়ে রিক্তা আক্তার ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ১৩ জনকে আসামি দিয়ে একটি মামলা করেন।

এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মোট ৯ আসামিকে গ্রেফতার করে। এরপর আসামিদের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। এরপর হত্যায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ২৫ নম্বর আসামি শাহ আলম চেয়ারম্যানকে আটক করে ডিবি পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই পুরো গ্রাম গ্রেফতার আতঙ্কে পুরুষ শূন্য হয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে মুরাদনগর বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, মুরাদনগরে ট্রিপল মার্ডারের মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে। আমরা তাদের সঙ্গে সমন্বয় করছি। এ মামলায় নিরীহ গ্রামবাসীকে হয়রানির বিষয়টি সঠিক নয়। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও প্রমাণ ছাড়া কাউকে হয়রানি বা আটক করা হচ্ছে না।

বাংলা৭১নিউজ/জেসি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2018-2025
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com