টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে বিএনপির বিজয় মিছিলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষে হামলা ও ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার পর থেকে কালিহাতী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটোর নেতৃত্বে কালিহাতী আর এস সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে একটি বিজয় মিছিল বের হয়। অপরদিকে কালিহাতী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অপরপক্ষ কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য লুৎফর রহমান মতিন, উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শুকুর মাহমুদ তালুকদার, ড্যাব নেতা ডা. শাহ আলম, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হালিম, কালিহাতী পৌরসভার সাবেক মেয়র আলী আকবর জব্বার ও জেলা জিয়া পরিষদের সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল তাদের নেতাকর্মীদের নিয়ে শহীদ শফি সিদ্দিকী তোরণের পাশে একটি সমাবেশ করছিলেন। পরে মিছিলটি সমাবেশের কাছাকাছি চলে এলে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে বাগবিতণ্ডা থেকে হামলা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শুকুর মাহমুদ তালুকদার এক প্রেস ব্রিফিংয়ের বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করছিলাম। হঠাৎ করে বেনজির আহমেদ টিটোর নেতৃত্বে আওয়ামীপন্থি লোকজন নিয়ে আমাদের সমাবেশস্থলের পাশ দিয়ে মিছিল নিয়ে এসে আমাদের কর্মীদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালান। পরে কালিহাতীর মানুষ সেটা প্রতিহত করতে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যান। এতে করে আমাদের কয়েকজন কর্মী আহত হন।
অন্যদিকে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মজনু মিয়া বলেন, বেনজির আহমেদ টিটোর নেতৃত্বে আমরা কালিহাতী আর এস সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে একটি বিজয় মিছিল বের করে বাসস্ট্যান্ডে আমাদের কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিলাম।
পথিমধ্যে পূব পরিকল্পিতভাবে কালিহাতী বাসস্ট্যান্ডের কাছে লুৎফর রহমান মতিন, শুকুর মাহমুদ, শাহ আলম, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হালিম, আলী আকবর জব্বার ও আব্দুল আউয়ালের নেতৃত্বে তাদের কর্মী-সমর্থকরা আমাদের মিছিলে অতর্কিত হামলা চালায়। এ ঘটনায় আমাদের ১০-১৫ জন কর্মী-সমর্থক আহত হয়ে কালিহাতী ও টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ বিষয়ে কালিহাতী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, বিএনপির উভয়পক্ষের কর্মসূচি থাকায়, বিজয় মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। কোনো মারামারি বা হাতাহাতি হয়নি।
বাংলা৭১নিউজ/এবি